রাজশাহীতে ট্রাকচাপায় দুই মোটরসাইকেলে থাকা তিন তরুণ নিহত

ট্রাকচাপায় দুমড়ে–মুচড়ে যাওয়া একটি মোটরসাইকেল। শুক্রবার বিকেলে রাজশাহীর মুরারীপুর কালুর ডাইং এলাকায়ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহীতে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী তিন তরুণ নিহত হয়েছেন। তাঁরা দুটি মোটরসাইকেলে ছিলেন। বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক তাঁদের চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই দুজন ও হাসপাতালে নেওয়ার পর একজনের মৃত্যু হয়।

আজ শুক্রবার বিকেলে সাড়ে চারটার দিকে নগরের দামকুড়া থানার মুরারীপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত মোটরসাইকেলের আরও দুই আরোহীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নিহত তরুণেরা হলেন আসিফ ইকবাল (১৯), সুইট হোসেন (২০) ও তাজুল ইসলাম (২৫)। আসিফ দামকুড়া থানার নতুন কসবা এলাকার লাল মোহাম্মদের ছেলে। সুইট একই থানার ধুতরাবোনা এলাকার আলমগীর হোসেনের ছেলে। আর তাজুলের বাবার নাম জহুরুল ইসলাম। তাঁর বাড়ি লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ি গ্রামে।

নিহত তরুণদের মধ্যে সুইট হোসেন একটি মোটরসাইকেল গ্যারেজের মালিক। তাঁর বড় ভাই খবর পেয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন। তিনি বলেন, দুপুরে নিজে খেয়ে গ্যারেজের কর্মচারীদের জন্য খাবার নিয়ে আসছিলেন সুইট। কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটেছে, তাঁরা কিছুই জানেন না।

তাজুল ইসলাম পেশায় মাইক্রোবাসের চালক। মাইক্রোবাসের মালিক উজ্জ্বল ভট্টাচার্য হাসপাতালে তাঁকে দেখতে এসেছিলেন। তিনি একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন। তিনি বলেন, তাজুল ইসলাম তাঁর গাড়ি চালাতেন। আজ সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছিল। কীভাবে মোটরসাইকেলে উঠে দুর্ঘটনার কবলে পড়লেন, তিনি কিছু জানেন না।

অন্যদিকে আসিফ ইকবালের ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। দুর্ঘটনায় আহত দুজনের একজন পবা উপজেলার আলীমগঞ্জ এলাকার রবিউল ইসলামের ছেলে জুলহাস উদ্দিন (৩২) ও নতুন কসবা গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে রিপন হোসেন (৩৫)। তাঁরা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

দামকুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মইনুল বাশার বলেন, ‘যাঁরা মারা গেছেন, তাঁরা পরস্পরের বন্ধু। দুটি মোটরসাইকেলে পাঁচ বন্ধু রাজশাহী শহরের দিকে যাচ্ছিলেন। মুরারীপুর এলাকায় একটি অটোরিকশাকে সাইড দিতে গিয়ে রাস্তার এক পাশে সরে যান। তখন শহরের দিক থেকে একটি ডাম্প ট্রাক চাঁপাইনবাবগঞ্জের দিকে যাচ্ছিল। ট্রাকটি একটি গাড়িকে সাইড দিতে গিয়ে একই পাশ দিয়ে পার হচ্ছিল। এ সময় মোটরসাইকেল দুটিকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর আরেকজন মারা যান।