পটুয়াখালীতে মেয়েকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে বাবার মামলা

কুপিয়ে হত্যা
প্রতীকী ছবি

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে শিশু মরিয়মকে (৮) কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে মামলা করেছেন তার বাবা। নিহত মরিয়মের বাবা মকবুল মৃধা বাদী হয়ে আজ সোমবার অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে দশমিনা থানায় হত্যা মামলাটি করেন।

গত শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে দশমিনা উপজেলার বেতাগীসানকিপুর ইউনিয়নের রামবল্লভ গ্রামে বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত ভিটায় পড়ে ছিল রক্তাক্ত শিশু মরিয়মের লাশ। খবর পেয়ে লাশটি উদ্ধার করে দশমিনা থানা-পুলিশ। লাশ উদ্ধারের সময় তার মাথায় জখম ও গলায় ওড়না প্যাঁচানো ছিল। নিহত মরিয়ম রামবল্লভ গ্রামের মকবুল মৃধা ও রীনা বেগম দম্পতির ছোট মেয়ে। সে ৪৯ নম্বর রামভালক অগ্রণী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

আজ রীনা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘দুই বছর ধরে বাড়ির পাশে কয়েকজনের সঙ্গে আমাদের জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছে। সন্ধ্যার সময় প্রতিপক্ষের লোকজনকে আমাদের ঘরের সামনে ঘুরতে দেখা যায়। জমিজমা নিয়ে বিরোধের কারণেই প্রতিপক্ষের লোকজন আমার মেয়েকে জোর করে বাড়ির পূর্ব পাশের ভিটায় নিয়ে হত্যা করেছেন। আমি এই হত্যার বিচার চাই।’

পরিবার ও স্বজন সূত্রে জানা যায়, মরিয়ম শনিবার বিকেলে বাড়ির পাশে তার ফুফু সেলিনা বেগমের ঘরে এসে ফুফাতো বোনের সঙ্গে খেলছিল। সন্ধ্যায় বাড়িতে চলে যাওয়ার কথা বলে ফুফুর ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর মরিয়মের মা রীনা বেগম মেয়ের খোঁজ করতে সেলিনা বেগমের বাড়িতে আসেন। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও মেয়েকে পাচ্ছিলেন না। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাড়ির পূর্ব পাশে পরিত্যক্ত ভিটায় রক্তাক্ত অবস্থায় মেয়ের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। এ সময় রীনা বেগমের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে।

দশমিনা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, লাশ উদ্ধারের সময় শিশু মরিয়মের মাথায় কোপ ও গলায় ওড়নার ফাঁস দেওয়ার চিহ্ন দেখে প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে এটি হত্যাকাণ্ড।

মকবুল মৃধা বলেন, ‘কয়েক দিন আগে প্রতিপক্ষের লোকজন আমাকে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখায় ও হুমকি দেয়। ওরাই আমার মেয়েকে হত্যা করেছে।’

আরও পড়ুন