গাইবান্ধায় তিনটি নদ-নদীর পানি বাড়া অব্যাহত, কমছে তিস্তার পানি

গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র, ঘাঘট নদ ও করতোয়া নদীর পানি বাড়া অব্যাহত আছে। তবে তিস্তা নদীর পানি কমলেও বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আজ শনিবার দুপুর ১২টায় সুন্দরগঞ্জ উপজেলাসংলগ্ন কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। একই পয়েন্টে গতকাল একই সময়ে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৫২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।

গাইবান্ধার পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, আজ শনিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ি উপজেলার তিস্তামুখঘাট পয়েন্টে ২ সেন্টিমিটার, ঘাঘট নদের পানি জেলা শহরের নতুন ব্রিজ পয়েন্টে ১০ সেন্টিমিটার ও করতোয়া নদীর পানি গোবিন্দগঞ্জের চকরহিমাপুর পয়েন্টে ৩৬ সেন্টিমিটার বেড়েছে। এসব নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর তিস্তার পানি সুন্দরগঞ্জের কাউনিয়া পয়েন্টে ৩৭ সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়ে বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

গাইবান্ধার পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক মুঠোফোনে বলেন, কোনো নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে, আবার কোনো নদীর পানি হ্রাস পাচ্ছে। পানি বৃদ্ধি পেলেও আপাতত বড় বন্যার আশঙ্কা নেই। তিস্তা বাদে অন্য তিনটি নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পানি বাড়ার কারণে নদীতীরবর্তী গাইবান্ধা সদর উপজেলার মোল্লারচর, কামারজানি, ফুলছড়ি উপজেলার এরান্ডাবাড়ি, ফজলুপুর, কঞ্চিপাড়া ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।