ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি কেন্দ্রে এক ঘণ্টায় ভোট পড়েছে একটি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজ কেন্দ্রে আজ বুধবার সকালে ভোটার উপস্থিতি নেই বললেই চলে। সকাল সাড়ে আটটার দিকে তোলাছবি: প্রথম আলো

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আজ বুধবার সকাল আটটা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। সকাল থেকে এক ঘণ্টায় সরকারি মহিলা কলেজ কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন একজন। এ ছাড়া ভোটার স্লিপ না থাকায় দুজন নারী ভোট না দিয়ে ফিরে গেছেন।

আজ সকাল আটটা থেকে নয়টা পর্যন্ত সরকারি মহিলা কলেজে ভোটারদের উপস্থিতি চোখে পড়েনি। সাধারণত কেন্দ্রের বাইরে ভোটারদের স্লিপ দেওয়ার জন্য অনেক প্রার্থীর কর্মীরা কাজ করেন। তবে সকাল নয়টা পর্যন্ত কাউকে স্লিপ দিতে দেখা যায়নি।

ভোটকেন্দ্রের ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, দ্বিতীয় তলায় পাঁচ ও ছয় নম্বর কক্ষে কোনো প্রার্থীর এজেন্ট নেই। ৫ নম্বর কক্ষে ভোটার সংখ্যা ২২৪, ছয় নম্বর কক্ষে ভোটার সংখ্যা ২০৯, দুই নম্বর কক্ষে ভোটার সংখ্যা ৪২৯, তিন নম্বর কক্ষে ভোটার সংখ্যা ৪৬৫, চার নম্বর কক্ষে ভোটার সংখ্যা ৪৫৫। এসব কক্ষে প্রথম এক ঘণ্টায় কোনো ভোট পড়েনি। এক নম্বর কক্ষে ভোটার সংখ্যা ৪২৯। সকাল সাড়ে আটটায় সেখানে ভোট দিতে আসেন জেলা শহরের পাইকপাড়ার বাসিন্দা তুহিনা রহমান। সকাল নয়টা পর্যন্ত এই কক্ষসহ পুরো কেন্দ্রে মাত্র একটি ভোট পড়েছে। এই কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ২ হাজার ১২৫।

তুহিনা রহমান বলেন, ‘ভিড় এড়াতে সকাল সকাল এসেছি। আমি ছাড়া আর কোনো ভোটারকে পাইনি।’

সকাল ৮টা ২০ মিনিটে ভোট দিতে এই কেন্দ্রে আসেন পূর্ব পাইকপাড়া বাসিন্দা সাজেদা বেগম ও সুমা বেগম। কেন্দ্রের এক নম্বর কক্ষে জাতীয় পরিচয়পত্রের অনুলিপি নিয়ে প্রবেশ করেন। কিন্তু ভোটার নম্বর–সংবলিত স্লিপ না থাকায় তাঁরা ভোট দিতে পারেননি।

সাজেদা বেগম বলেন, ‘ভোট দিতে আসলাম। কিন্তু স্লিপ দেওয়ার জন্য বাইরে কাউকে পায়নি। ভোটকক্ষে কেউ আমার ভোটার নম্বর খুঁজে দিতে পারেননি। তাই ভোট না দিয়েই বাসায় চলে যাচ্ছি। পরে আবার আসব।’  

কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আবু হানিফ মুন্সী প্রথম আলোকে বলেন, এখনো সব কক্ষে প্রার্থীদের এজেন্ট এসে পৌঁছাননি। তা ছাড়া ভোটারও নেই। এজেন্ট না থাকলে ভোট যাচাই করাও কঠিন।

চতুর্থ ধাপে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হচ্ছে। এখানে চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন প্রার্থী রয়েছেন। তাঁরা হলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হেলাল উদ্দিন (ঘোড়া), সৌদি আরবের রিয়াদ আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কাজী সেলিম রেজা (দোয়াত) ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন (আনারস) ও স্বতন্ত্র আবদুল কারিম (মোটরসাইকেল)। আরেক চেয়ারম্যান প্রার্থী জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও সদর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন আগেই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। তবে ব্যালটে তাঁর প্রতীক রয়েছে।