আঙুলের ছাপ মিলছে না, পাঁচ ঘণ্টাতেও ভোট দিতে পারেননি মালেছা

মালেছা বেগমের আঙুলে পেট্রোলিয়াম জেলি মেখে দিচ্ছেন এক নারী। শনিবার বেলা ১টার দিকে ময়মনসিংহ নগরের মহাকালী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভোটকেন্দ্রের সামনে
ছবি: কামরান পারভেজ

ময়মনসিংহ নগরের থানার ঘাট এলাকার বাসিন্দা মালেছা বেগম (৫৬)। আজ শনিবার সকালে তিনি ভোট দিতে চলে যান ময়মনসিংহ নগরের মহাকালী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে। লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষার পর দুবার তিনি বুথের ভেতর গেলেও ভোট দিতে পারেননি। কারণ, দুবারই মেলেনি তাঁর আঙুলের ছাপ।

ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট দিতে বেলা ১টার দিকে মালেছা হতাশ হয়ে কেন্দ্রের বাইরে আসেন। পরে এক প্রার্থীর ক্যাম্প থেকে এক তরুণ তাঁকে আবারও ভোটকেন্দ্রে পাঠান। তবে এবার মালেছার আঙুলে পেট্রোলিয়াম জেলি মেখে দেন এক নারী কর্মী। বেলা ১টা ৩৫ মিনিটে দেখা যায়, মালেছা আবারও লাইনে দাঁড়ান। তখন তাঁর সামনে অন্তত ৩০ জন নারী ভোটার ছিলেন।

সেখানে আলাপকালে মালেছা বেগম প্রথম আলোকে বলেন, সকাল থেকে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা অপেক্ষা করে ভোট দিতে পারেননি। তিনি বাড়িতে ফিরে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁরা (একজন প্রার্থীর কর্মীরা) তাঁকে আবারও ভোট দিতে পাঠালেন। জানেন না, কখন বাড়ি ফিরবেন।

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোট গ্রহণে ধীরগতির বিষয়টি সকাল থেকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল। সকালে বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও দুপুর থেকে উপস্থিতি বেড়েছে।

মহাকালী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে দুটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হচ্ছে। একটি কেন্দ্রের নম্বর ৩১ ও অপরটি ৩২। মালেছা বেগম ৩২ নম্বর কেন্দ্রের ৩ নম্বর বুথে দুবার ভোট দিতে গিয়ে ফিরে যান।

কেন্দ্রটির প্রিসাইডিং কর্মকর্তা নুরুল হক প্রথম আলোকে বলেন, আঙুলের ছাপ অনেকের মিলছে না। আঙুলের ছাপ না মেলা ১ শতাংশ ভোটারদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থায় ভোট গ্রহণের সুযোগ আছে। কিন্তু কেন্দ্রে আঙুলের ছাপ না মেলা ভোটারের হার অনেক বেশি থাকায় অনেকেই সেই সুযোগ দিতে পারছেন না।

নুরুল হক আরও বলেন, ৩১ নম্বর কেন্দ্রে মোট ভোটার ২ হাজার ৪৫২ জন। দুপুর ১২টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৪৭০টি। মহাকালী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৩২ নম্বর কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মৃণাল কান্তি রায় বলেন, কেন্দ্রে মোট ভোটার ১ হাজার ৫৬০টি। দুপুর ১২টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ২১৬টি।