মানিকগঞ্জে অ্যাসিড নিক্ষেপকারীকে গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন

অ্যাসিড নিক্ষেপকারীকে গ্রেপ্তারের দাবিতে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার মহাদেবপুর ইউনিয়নের বকচর গ্রামে এই মানববন্ধন হয়ছবি: প্রথম আলো

মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলায় এক গৃহবধূকে অ্যাসিড নিক্ষেপের ঘটনায় হওয়া মামলার আসামিকে গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় লোকজন। আজ শুক্রবার দুপুরে উপজেলার মহাদেবপুর ইউনিয়নের বকচর গ্রামে এই মানববন্ধন হয়। ঘণ্টাব্যাপী এই কর্মসূচিতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, ভুক্তভোগী নারীর পরিবারের সদস্যরা ও স্থানীয় লোকজন বক্তব্য দেন।

এ ঘটনায় হওয়া মামলার আসামি হলেন মহাদেবপুর ইউনিয়নের বকচর গ্রামের বাসিন্দা সিদ্দিক মিয়া (৩৪)। আর অ্যাসিড-সন্ত্রাসের শিকার হলেন একই ইউনিয়নের কেশবপট্টি গ্রামের শহিদুল ইসলামের মেয়ে জহুরা বেগম। জহুরার স্বামী কলিম মালয়েশিয়াপ্রবাসী।

মামলার এজাহার, গৃহবধূর স্বজন ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশী সিদ্দিক মিয়া (৩৪) জহুরা বেগমকে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। জহুরা তাঁকে পাত্তা না দেওয়ায় তিনি ক্ষুব্ধ হন। গত ২৯ মার্চ রাত সাড়ে আটটার দিকে জহুরার শ্বশুরবাড়িতে প্রবেশ করে তাঁকে অ্যাসিড নিক্ষেপ করেন সিদ্দিক। এরপর দ্রুত বাড়ি থেকে সটকে পড়েন। অ্যাসিডে জহুরার মুখমণ্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন স্থান ঝলসে যায়। তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তরের পরামর্শ দেন। এরপর স্বজনেরা জহুরাকে সেখানে ভর্তি করেন। এখনো তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় পরদিন জহুরার বাবা মো. শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে সিদ্দিক মিয়াকে আসামি করে শিবালয় থানায় একটি মামলা করেন।

আসামি সিদ্দিক মিয়াকে গ্রেপ্তারের দাবিতে হওয়া মানববন্ধনে বক্তব্য দেন মহাদেবপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাজাহান, জহুরার বাবা শহিদুল ইসলাম, মা রাশিয়া বেগম, শাশুড়ি কমলা বেগম, স্থানীয় সমাজসেবক ফজলুল হক, আসলাম উদ্দিন, রতন কুমার দে প্রমুখ।

জহুরার বাবা শহিদুল ইসলাম বলেন, এক সপ্তাহ পার হলেও এখন পর্যন্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। উল্টো মামলা তুলে নিতে আসামির স্বজনেরা তাঁদের একধরনের চাপ সৃষ্টি করে আসছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামিকে গ্রেপ্তার এবং তাঁর সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান তিনি।

শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ নুর এ আলম প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামিকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে ওসি জানান।