শিশুটির আহত হওয়ার কথা জানেন না স্বজনেরা

ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শয্যায় ঘুমাচ্ছে আহত রবিউল
ছবি: সংগৃহীত

দশ বছর বয়সী এক শিশু তার বন্ধুর সঙ্গে ট্রেনে কিশোরগঞ্জের ভৈরব আসে। বাড়ি ফিরে যাওয়ার জন্য আন্তনগর এগারসিন্দুর ট্রেনের যাত্রী হয়েছিল তারা। দুর্ঘটনায় ঠোঁট ও পিঠে আঘাত পায় শিশুটি। অন্য আহত ব্যক্তিদের সঙ্গে তাকে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। রাত ১১টার মধ্যে একে একে অন্য আহত ব্যক্তিদের স্বজনেরা এসে তাদের বাড়ি কিংবা অন্য হাসপাতালে নিয়ে যান। এরপর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শুধু সেই শিশুটিই ছিল।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ও সেবিকাদের কাছ থেকে জানা যায়, দুর্ঘটনার খবর এখন পর্যন্ত শিশুটির পরিবারের সদস্যদের কাছে পৌঁছায়নি। তাকে অচেতন অবস্থায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। চেতনা ফেরার পর ভয়ে চিৎকার দিয়ে উঠছিল আর কাঁপছিল। এ কারণে ওষুধ দিয়ে তাকে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছিল। রাত দশটার দিকে ঘুম ভাঙার পর কিছুটা স্বাভাবিক হয় শিশুটি। তখন জানায়, তার নাম রবিউল। বাবা মিলন মিয়া। বাড়ি নরসিংদীর রায়পুরায়। গ্রামের নাম বলতে পারছে না সে। কারও মুঠোফোন নম্বরও স্মরণ করতে পারছে না সে। তাই হাসপাতালের শয্যায় শুয়ে মা–বাবার জন্য অপেক্ষায় সময় কাটছে তার।

রাত সাড় ১১টার দিকে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, শিশুটি শিশু ওয়ার্ডের ১ নম্বর শয্যায় ঘুমিয়ে আছে সে। শিশুটি চিকিৎসকদের জানিয়েছে, সে তার এক বন্ধুর সঙ্গে একটি ট্রেনে করে ভৈরব আসে। কোন স্টেশন থেকে ট্রেনে উঠে আসে, তা জানাতে পারেনি। এগারসিন্দুর ট্রেনে করে ফিরে যাচ্ছিল। ট্রেনে তার বন্ধু সঙ্গে ছিল।

রাত দশটার দিকে ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান হাসপাতালে এসে শিশুটিকে এসে দেখে গেছেন।

ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ বলেন, শিশুটির এখন বড় সমস্যা ভয়াবহ দুর্ঘটনার স্মৃতি ভুলতে পারছে না। এই সময়ে স্বজনদের কাছে পেলে শিশুটির মানসিক অবস্থার উন্নতি হতো।