সুনামগঞ্জে জামাল হত্যা মামলার ১৭ বছর পর রায়, ৭ জনের যাবজ্জীবন

আদালত
প্রতীকী ছবি

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার যুবক জামাল উদ্দিন হত্যা মামলার রায়ে সাতজন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার দুপুরে সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ঝলক রায় এই আদেশ দেন। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) গোলাম মোস্তফা। হত্যা মামলার প্রায় ১৭ বছর পর এ রায় হলো।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সাত আসামি হলেন দোয়ারাবাজার উপজেলার বাজিতপুর গ্রামের আবদুল মতিন, নুরুল হক, আনর আলী, আফতাব মিয়া, সিরাজ আলী, মংলা মিয়া ও হেলাল উদ্দিন। এ ছাড়া একই মামলায় আরও পাঁচজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় মংলা মিয়া ও হেলাল উদ্দিন আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা যায়, দোয়ারাবাজার উপজেলার বাজিতপুর গ্রামে ২০০৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর যুবক জামাল উদ্দিন হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। গ্রামের পাশের সড়কে মাসুক মিয়া ও হুশিয়ার আলীর মুদিদোকান ছিল। ওই দিন দুপুরে ক্যারম খেলার জন্য মাসুক মিয়ার কাছে ক্যারমবোর্ডের গুটি চান হুশিয়ার আলী। কিন্তু মাসুক গুটি না দেওয়ায় তাঁদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এর জেরে বিকেলে হুশিয়ার আলীর পক্ষের লোকজন মাসুক মিয়ার পক্ষের লোকজনের ওপর হামলা চালান। একপর্যায়ে মাসুক মিয়ার চাচা জামাল উদ্দিনকে সুলফি দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করা হলে তিনি গুরুতর আহত হন। তাঁকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।

এ ঘটনার পর নিহত জামাল উদ্দিনের ভাই আবদুর রউফ বাদী হয়ে দোয়ারাবাজার থানায় ১৮ জনের নামে একটি হত্যা মামলা করেন। এই মামলার দীর্ঘ বিচারপ্রক্রিয়া শেষে আজ আদালত এ রায় দেন।