হবিগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষে যুবলীগ নেতাসহ নিহত ২, বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ

লাশ
প্রতীকী ছবি

হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে যুবলীগ নেতাসহ দুজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের মিরপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত দুজন হলেন—বাহুবল উপজেলার কামারগাঁও গ্রামের বাসিন্দা ইউসুফ আলী (৪৫) ও একই গ্রামের উস্তার মিয়া (৩৫)। নিহত ইউসুফ আলী বাহুবল উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক।

গতকাল দিবাগত রাত ১২টার দিকে দুজন নিহত হওয়ার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে এক পক্ষ আরেক পক্ষের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করে। বেশ কয়েকটি বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়ারও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় রাত একটার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে কিছু সময়ের জন্য যান চলাচল বন্ধ ছিল। পরে রাত দেড়টার দিকে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জমি নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরে ইউসুফ আলীর সঙ্গে উপজেলার কামারগাঁও গ্রামের ফারুক মিয়ার বিরোধ চলে আসছিল। সম্প্রতি ইউসুফ আলীসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করেন ফারুক মিয়া। এ মামলায় ইউসুফ আলীসহ অন্যরা আদালত থেকে জামিন পান। জামিন পেয়ে এলাকায় এসে তাঁরা ফারুক মিয়াকে নিয়ে কটূক্তি করেন। এ নিয়ে গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে উভয় পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে ১৫ জন আহত হন।

আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ইউসুফ আলী (৪৫) ও উস্তার মিয়াকে (৩৫) গতকাল রাত সাড়ে ১১টার দিকে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত উস্তার মিয়া ফারুক মিয়ার পক্ষের লোক। আশঙ্কাজনক অবস্থায় মকসুদ আলী নামের একজনকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আহত অন্য ব্যক্তিরা হবিগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।

বাহুবল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমান প্রথম আলোকে বলেছেন, জমিসংক্রান্ত বিরোধ থেকে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের একজন করে দুজন নিহত হন। এ ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। আজ রোববার নিহত দুজনের লাশের ময়নাতদন্ত হবিগঞ্জ হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে।