কুমিল্লায় চাচাকে হত্যার দায়ে ভাতিজার মৃত্যুদণ্ড

মৃত্যুদণ্ডপ্রতীকী ছবি

কুমিল্লার তিতাসে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য নবী হোসেনকে (৬৪) কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যার দায়ে আপন ভাতিজা আবদুল আউয়ালকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আবদুল আউয়াল তিতাস উপজেলার জগতপুর ইউনিয়নের কৈয়ারপাড় গ্রামের প্রয়াত আবদুর রবের ছেলে।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, ২০২০ সালের ২৯ জানুয়ারি একটি মামলায় আবদুল আউয়ালকে গ্রেপ্তার করে তিতাস থানার পুলিশ। আউয়াল তাঁকে ধরিয়ে দেওয়ার পেছনে তাঁর চাচা নবী হোসেনকে সন্দেহ করেন। ২০২০ সালের ২৪ মে জামিনে বের হয়ে বাড়ির কাছের সড়কে নবীকে একা পেয়ে পরিকল্পিতভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও গলা কেটে রক্তাক্ত জখম করে দৌড়ে পালিয়ে যান। পরে নবী হোসেনকে উদ্ধার করে তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় ওইদিনই নবী হোসেনের ছেলে মো. রাসেল (২৬) বাদী হয়ে তিতাস থানায় মামলা করেন। মামলায় আবদুল আউয়ালসহ অজ্ঞাতনামা দুজনকে আসামি করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম এ ঘটনায় আবদুল আউয়ালের নামে কুমিল্লার আদালতে অভিযোগপত্র দায়ের করেন। ২০২২ সালের ২১ আগস্ট এ মামলার অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এতে রাষ্ট্রপক্ষে ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ হয়।

অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আসামি আবদুল আউয়ালকে বিচারক মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) মো. মজিবুর রহমান। তিনি মামলার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।