টেকনাফে অস্ত্রের মুখে পাঁচজনকে অপহরণ

অপহরণপ্রতীকী ছবি

কক্সবাজারের টেকনাফের হ্নীলা এলাকায় দুই কিশোরসহ পাঁচজনকে অস্ত্রের মুখে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে হ্নীলা ইউনিয়নের পশ্চিম পানখালী পাহাড়ি এলাকায় নিজেদের খেত পাহারা দেওয়ার সময় তাঁদের অপহরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গ্রামবাসী।

হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, মুক্তিপণের জন্য দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা স্থানীয় বাসিন্দাদের অপহরণ করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় ভোরে পাঁচজনকে অপহরণ করে গহিন পাহাড়ের দিকে নিয়ে গেছে সন্ত্রাসীরা।

অপহৃতদের মধ্যে মোহাম্মদ শামীম (১৮), মোহাম্মদ রাফিক (১৮) ও মোহাম্মদ নুর (২২) নামের তিনজন রয়েছেন, অপর দুজন কিশোর। তাঁরা সবাই হ্নীলার পশ্চিম পানখালী গ্রামের বাসিন্দা।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, টেকনাফের পাহাড়ি এলাকা থেকে প্রায়ই কৃষকসহ স্থানীয় বাসিন্দাদের অপহরণ করা হচ্ছে। অপহরণের পর তাঁদের মারধরসহ নির্যাতন করে মুক্তিপণের জন্য পরিবারের কাছে ভিডিও বার্তা পাঠানো হয়। মুক্তিপণ না দিলে অপহৃতদের হত্যার হুমকি দেয় অপহরণকারীরা। এসব ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কে রয়েছেন।

জানতে চাইলে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গনি বলেন, ‘অপহরণের বিষয়টি লোকমুখে শুনেছি, কেউ অভিযোগ করেননি। তবু পুলিশ গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।’

গত ১২ মাসে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১০৭ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৫৭ জন স্থানীয় বাসিন্দা, বাকিরা রোহিঙ্গা নাগরিক। অপহরণের শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে অন্তত ৪৭ জন মুক্তিপণ আদায় করে ছাড়া পেয়েছেন বলে ভুক্তভোগীদের পরিবার সূত্রে জানা গেছে।