মেহেরপুরে পরিচ্ছন্নতাকর্মী হত্যা মামলার দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড

আদালত
প্রতীকী ছবি

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার একটি বেসরকারি ক্লিনিকের পরিচ্ছন্নতাকর্মী নার্গিস খানম হত্যা মামলার দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার দুপুরে জেলার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক রিপতি কুমার বিশ্বাস এ রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুজন হলেন গাংনী উপজেলার সাহেবনগর গ্রামের বাশারুল ইসলাম (৫২) ও একই গ্রামের ফরজ আলী (৫১)। দণ্ডপ্রাপ্ত দুজনই পলাতক।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা যায়, গাংনী উপজেলার বামুন্দী এলাকার একটি বেসরকারি ক্লিনিকে পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কাজ করতেন নার্গিস খানম। তাঁর স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকেই তিন মেয়েকে নিয়ে স্বামীর বাড়ি সাহেবনগরে বসবাস করতে শুরু করেন। নার্গিসের স্বামীর প্রথম স্ত্রী ও তাঁর ছেলেমেয়ে ওই বাড়িতে আগে থেকেই বসবাস করতেন। নার্গিসের স্বামীর রেখে যাওয়া সম্পদ নিয়ে সৎছেলে ও সৎমেয়ের স্বামীর সঙ্গে জমিজমা নিয়ে বিরোধ শুরু হয়। ২০১৮ সালের ৫ আগস্ট সকাল ৯টার দিকে বাড়ি থেকে ক্লিনিকের উদ্দেশে বের হন নার্গিস। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হলেও তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। তাঁর মুঠোফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর সন্ধান না পেয়ে গাংনী থানায় জিডি করেন নার্গিসের মেয়ে তসলিমা খাতুন। একই বছরের ১৮ নভেম্বর জিডিটি মামলা হিসেবে নেয় পুলিশ। মামলায় আসামি করা হয় তসলিমার সৎভাই ইয়াকুব আলী, ইউছুপ আলী ও ভগ্নিপতি ইসমাইল হোসেনকে। তদন্তের ভার পড়ে গাংনী থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) বিশ্বজিৎ কুমারের ওপর। পরে ২০১৯ সালের ২৪ জানুয়ারি বাশারুলের বাড়ির সেফটিক ট্যাংক থেকে নার্গিসের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মামলাটি হত্যা মামলায় রূপ নেয়। তদন্ত শেষে পুলিশ ইয়াকুব আলী, বাশারুল ইসলাম ও ফরজ আলীর নামে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। এরই মধ্যে ইয়াকুব আলী মারা যান। শুনানি ও সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আদালত এ রায় দেন।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন কাজী শহিদুল হক এবং আসামি পক্ষের আইনজীবী কামরুল হাসান ও আতাউর রহমান। মামলায় ২৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।