চট্টগ্রাম থেকে ছিনতাই করা অটোরিকশা কুরিয়ারে পাঠানো হয় বগুড়ায়, গ্রেপ্তার ৭

গ্রেপ্তার
প্রতীকী ছবি

যাত্রীবেশে চট্টগ্রাম থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ওঠেন চারজন ব্যক্তি। এরপর কর্ণফুলী উপজেলা অতিক্রমের সময় ওই ব্যক্তিরা অটোরিকশার চালকের হাত-পা বেঁধে ফেলেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী, অটোরিকশাটি ছিনতাইয়ের পর কুরিয়ার সার্ভিসে পাঠানো হয় বগুড়ায়। সেখানে ২ লাখ ৬০ হাজার টাকায় একজন গাড়িটি কেনেন। পুলিশ ক্রেতাসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করে অটোরিকশাটি উদ্ধার করেছে। গতকাল বুধবার রাতে কর্ণফুলী থানার পুলিশ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন—বগুড়ার সোনাতলা থানার গড়ামাড়া গ্রামের বাসিন্দা সাবেক সেনাসদস্য মো. সাজু শেখ (৩৭), চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটার মো. সৈকত (২২), একই উপজেলার বড় উঠান ইউনিয়নের কায়সার হামিদ (৩৪), চরলক্ষ্যা গ্রামের সালাউদ্দিন (৩০), আনোয়ারা উপজেলার কিল্টন দে (২৯), ফেনীর জয়নগর গ্রামের ইমরান হাসান (২৭) ও নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার হাবিবুল কিবরিয়া (২২)।

পুলিশ জানায়, ২ এপ্রিল ভোরে চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানার তিনপুলের মাথা থেকে যাত্রীবেশে চারজন ব্যক্তি এস এম আবদুল জলিলের অটোরিকশায় ওঠেন। তাঁরা আনোয়ারা উপজেলায় যাওয়ার কথা বলে অটোরিকশাটি ভাড়া করেন। অটোরিকশাটি কর্ণফুলী উপজেলার বড় উঠানের ফকিরনীরহাট এলাকায় পৌঁছালে ছুরি দেখিয়ে অটোরিকশাচালকের হাত-পা ও মুখ বেঁধে ফেলেন ওই ব্যক্তিরা। পরে অটোরিকশাটি নিয়ে পালিয়ে যান তাঁরা।

এই ঘটনায় ৬ এপ্রিল ওই অটোরিকশার মালিক এস এম আবদুল জলিল বাদী হয়ে কর্ণফুলী থানায় একটি মামলা করেন। পরে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করলে চট্টগ্রাম শহর থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার ওই দুজনের কাছ থেকে ওই অটোরিকশার কাগজপত্র ও মিটার জব্দ করা হয়। সবশেষ গতকাল সকালে বগুড়ার সোনাতলা গড়ামারা থেকে সাবেক সেনাসদস্য মো. সাজু শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ছিনতাই হওয়া অটোরিকশাটিও উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানায়, ছিনতাইয়ের পর অটোরিকশাটি কক্সবাজারের চকরিয়া থেকে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বগুড়ায় সাজু শেখের কাছে পাঠানো হয়। ২ লাখ ৬০ হাজার টাকায় তিনি অটোরিকশাটি কিনে নেন। সেখানে অটোরিকশাটির বাহ্যিক পরিবর্তন করা হয়।

কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দুলাল মাহমুদ বলেন, অটোরিকশাটি উদ্ধারের পাশাপাশি সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কাগজপত্র যাচাই–বাছাই না করে কীভাবে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে অটোরিকশাটি পাঠানো হলো, সেটিও তদন্ত করা হচ্ছে।