রংপুরে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের ৩ সদস্যের কারাদণ্ড

রংপুরে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের তিন সদস্যকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার দুপুরে রংপুরে সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালেছবি: মঈনুল ইসলাম

রংপুরে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় নিষিদ্ধঘোষিত আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের তিন সদস্যকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার দুপুরে রংপুরের সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান এ রায় দেন। এ সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত তিনজন হলেন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের গ্রুপের প্রধান রংপুর নগরের কেরানীপাড়ার জাহিদ হাসান ওরফে আবু জায়েদ আল আনসার (৩২), তাঁর সহযোগী মোবারক আলম (৩০) ও শাহ আলম (৩০)। তাঁদের মধ্যে জাহিদকে সাড়ে চার বছর কারাদণ্ড, ছয় হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মোবারক ও শাহ আলমকে চার বছর করে কারাদণ্ড, চার হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৭ সালের ৩ মে দিবাগত রাতে রংপুর নগরের কেরানীপাড়ার জাহিদ হাসানের বাড়িতে জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের কয়েকজন সদস্য নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের জন্য একত্র হয়েছিলেন। এমন খবর পেয়ে র‍্যাব-১৩–এর একটি দল ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে জাহিদ হাসানকে আটক করে। এ সময় তাঁর অন্য সহযোগীরা পালিয়ে যান। অভিযানে র‍্যাব জাহিদের বাড়িতে থাকা বোমা তৈরিতে ব্যবহৃত গানপাউডার, মোটরসাইকেলের বল-বিয়ারিং, পুরোনো ক্যাপাসিটর, স্কচটেপ, ইলেকট্রিক তার, ব্যাটারি ও মুঠোফোন জব্দ করে। সেই সঙ্গে জাহিদের মুঠোফোনে সংরক্ষিত অপরাধ পরিকল্পনা ও প্রচেষ্টাসংক্রান্ত নানা তথ্য পায় র‍্যাব।

এ ঘটনায় র‍্যাব বাদী হয়ে জাহিদসহ তাঁর সহযোগীদের আসামি করে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে রংপুর কোতোয়ালি থানায় মামলা করে। পরবর্তী সময়ে পলাতক আসামি মোবারক আলম ও শাহ আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়। সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আজ মামলার রায় ঘোষণা করেন আদালতের বিচারক।

আদালতের সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) রুহুল আমিন তালুকদার বলেন, আদালতের রায়ে তাঁরা সন্তুষ্ট। তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী তরিকুল ইসলাম বলেন, আসামিদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।