মেঘনায় তলা ফেটে ৯০০ মেট্রিক টন জিপসামসহ ডুবল জাহাজ, ১০ নাবিক উদ্ধার
বরিশালের মেঘনা নদীতে তলা ফেটে জিপসামবাহী একটি পণ্যবাহী (কার্গো) জাহাজ ডুবে গেছে। তবে জাহাজটির মাস্টার, গ্রিজার, লস্করসহ ১০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বুধবার বেলা আড়াইটার দিকে বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার উলানিয়া লঞ্চঘাট–সংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ডুবে যাওয়া নৌযানটির নাবিকদের বরাত দিয়ে মেহেন্দীগঞ্জের কালীগঞ্জ নৌ পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ওমর ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জাহাজটির উদ্ধার হওয়া নাবিকদের বরাত দিয়ে নৌ পুলিশ জানায়, এমভি প্রিন্স অব খশিয়াখালী-১ নামে পণ্যবাহী জাহাজটি পায়রা বন্দর থেকে ৯০০ টন জিপসাম নিয়ে নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশে যাচ্ছিল। গত ২৮ জুন পায়রা বন্দর থেকে জাহাজটি নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশে রওনা দেয়। পথে বৈরী আবহাওয়ার কারণে সময় বেশি লাগছিল। ২ জুলাই জাহাজটি মেঘনা নদীর মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার কালীগঞ্জ এলাকায় এসে নোঙর করে। আজ সকালে অন্যান্য কার্গো জাহাজের সঙ্গে ওই জাহাজ নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশে রওনা দেয়। পথে কিছু একটার সঙ্গে জাহাজটির সামনের অংশের তলদেশে ধাক্কা লাগে। এতে ভেতরে পানি ঢুকে ধীরে ধীরে জাহাজটি ডুবতে থাকলে নাবিকেরা দ্রুত সেটিকে পার্শ্ববর্তী চরের উদ্দেশে নেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে এর আগেই কার্গো জাহাজটি মেঘনায় ডুবে যায়। এদিকে জাহাজে থাকা নাবিকেরা জাতীয় জরুরি সেবা নম্বরে (৯৯৯) ফোন করে সহায়তা চান। সেখান থেকে খবর পেয়ে কার্গো জাহাজটির নাবিকদের নিরাপদে উদ্ধার করা হয়।
কালীগঞ্জ নৌ পুলিশের এসআই ওমর ফারুক বলেন, জাহাজটির তলদেশে কিসের সঙ্গে ধাক্কা লেগেছে, তা বলা যাচ্ছে না। তবে ওই জায়গায় এর আগে পণ্যবাহী জাহাজ এমভি প্রিমিয়াম-৫ ডুবে গিয়েছিল। সেটির সঙ্গে নাকি ডুবোচরে ধাক্কা লেগেছে, তা বলা সম্ভব নয়। কারণ, বৃষ্টি ও উঁচু জোয়ারের জন্য নদীতে পানির উচ্চতা অনেক।
কার্গো জাহাজটির উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন চালক মো. রেজাউল করিম, গ্রিজার মো. ফয়সাল, লস্কর রাজীব হোসেন, রিফাত শেখ, রাহাত, ইয়াসিন হাওলাদার, সুকানি কবির হোসেন, আলমগীর হোসেন, এনায়েত হোসেন সরদার ও মাস্টার মো. নোমান।
মাস্টার নোমান জানান, তাঁরা বর্তমানে উলানিয়া লঞ্চঘাট এলাকায় নৌ পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন। কার্গোর মালিককে খবর দেওয়া হয়েছে। তাঁরা এলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।