বরিশালের সমাবেশে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তা কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরের সদর রোডের দলীয় কার্যালয় চত্বরে মহানগর বিএনপি বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে
ছবি: সাইয়ান

বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সারা দেশে মিথ্যা মামলা, গ্রেপ্তার ও জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর প্রতিবাদে বরিশালে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বিএনপি। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরের সদর রোডের দলীয় কার্যালয় চত্বরে মহানগর বিএনপি এই সমাবেশের আয়োজন করে। এর আগে নগরের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে নেতা-কর্মীদের খণ্ড খণ্ড মিছিল দলীয় কার্যালয় চত্বরে এসে জড়ো হয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহে গণসমাবেশে লাখ লাখ মানুষের উপস্থিতি দেখে সরকার দিশাহারা হয়ে পড়েছে। যানবহন চলাচল বন্ধ করে দিয়েও মানুষের স্রোত থামাতে পারছে না সরকার। তাই এখন মিথ্যা মামলা দিয়ে, গণগ্রেপ্তার করে হাজার হাজার বিএনপি নেতা-কর্মীকে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে।

কোনো প্রতিবন্ধকতাই বরিশালে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের জনস্রোতকে রুখতে পারবে না উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, ময়মনসিংহে মানুষের ঢল ঠেকাতে পারেনি, খুলনায়ও চেষ্টা করেছে কিন্তু সেখানে মানুষের ঢল নেমেছে। গাড়ি বন্ধ করেও কোনো লাভ হয়নি। বরিশালেও জনগণ গণতন্ত্রের দাবিতে সমাবেশে উপস্থিত হবে। আগামী ৫ নভেম্বর বরিশালে গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সরকারি বাহিনী ও আওয়ামী লীগ এতে কোনো বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তা কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে। বরিশালের নেতা-কর্মীদের বাঁশের সঙ্গে জাতীয় ও দলীয় পতাকা বেঁধে গণসমাবেশে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান বিএনপি নেতারা।

সরকারের বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে বলে উল্লেখ করে বিএনপির নেতারা বলেন, সরকার যে দিশাহারা হয়ে গেছে, সেটা তাঁদের কয়েক দিনের কর্মকাণ্ডে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এতদিন যাঁদের ব্যবহার করে সরকার অবৈধ ক্ষমতা ধরে রেখেছে, রাতের আঁধারে নির্বাচনের নামে প্রহসন করেছে, সেই আমলাদের এখন বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হচ্ছে। একজন সচিব, তিনজন পুলিশ সুপারকে অবসরে পাঠানো হয়েছে। শোনা যাচ্ছে, আরও বেশ কয়েকজনের তালিকা করা হয়েছে।

মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সদস্যসচিব মীর জাহিদুল কবির, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আলী হায়দার, যুগ্ম আহ্বায়ক আলতাফ মাহমুদ সিকদার, হাবিবুর রহমান, যুবদল নেতা আক্তারুজ্জামান, ছাত্রদল নেতা হুমায়ন কবির প্রমুখ।