ঢাকা–মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে অ্যাম্বুলেন্সকে ধাক্কা দেওয়া বাসের চালকের সহকারী ও সুপারভাইজার গ্রেপ্তার
ঢাকা–মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে সড়কের পাশে অ্যাম্বুলেন্সে বাসচাপায় পাঁচজন নিহতের ঘটনায় ঘাতক বাসের চালকের সহকারী ও সুপারভাইজারকে গ্রেপ্তার করেছে হাইওয়ে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন গোল্ডেন লাইন বাসের সুপারভাইজার কল্যাণ বিশ্বাস (২৩) ও চালকের সহকারী সাইফুল ইসলাম (২৬)। সুপারভাইজার কল্যাণের বাড়ি ফরিদপুরের মধুখালী এলাকায় এবং সাইফুল ইসলামের বাড়ি রাজধানী ঢাকায়।
সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে দুজনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে হাঁসাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, ঘটনার পরপরই ঘাতক বাসের চালকসহ সংশ্লিষ্টদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান শুরু করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, সুপারভাইজার কল্যাণ বিশ্বাস ও বাসচালকের সহকারী সাইফুল ইসলাম ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকায় রয়েছেন। পরে সেখান থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে হাঁসাড়া থানায় আনা হয়। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
পুলিশ ও কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে জানা যায়, আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মাদারীপুর হাসপাতাল থেকে রোজিনা বেগম নামের এক গর্ভবতী নারীকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দিকে যাচ্ছিল অ্যাম্বুলেন্সটি। ওই গাড়িতে অসুস্থ নারীর কয়েকজন স্বজনও ছিলেন। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে সিরাজদিখানের নিমতলা তালুকদার পাম্পের সামনে অ্যাম্বুলেন্সের একটি চাকা পাংচার হয়ে যায়। সেখানে সড়কের পাশে অ্যাম্বুলেন্স থামিয়ে চাকা সচল করার জন্য কাজ চলছিল।
অ্যাম্বুলেন্সটির পাশেই ছিলেন দুর্ঘটনার শিকার ব্যক্তিরা। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকাগামী গোল্ডেন লাইন পরিবহনের একটি বাস অ্যাম্বুলেন্সের পেছনে সজোরে ধাক্কা দেয়।
এ সময় ঘটনাস্থলেই মারা যান শাহেদা বেগম (৫৮) নামের এক নারী। আহত হন অ্যাম্বুলেন্সের চালক, যাত্রীসহ আরও পাঁচজন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে হাফেজ আবদুস সামাদ ফকির (৬৫), হাফেজ বিল্লাল (৩৬), হাফেজা আফসানা (২৪) ও অ্যাম্বুলেন্সের চালক মাহবুব (২৮) মারা যান। নিহত ব্যক্তিদের বাড়ি মাদারীপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায়।