শিক্ষাক্রমের পরিবর্তন দেখতে আরও ৩ থেকে ৪ বছর সময় লাগবে: শিক্ষামন্ত্রী

চাঁদপুর হাসান আলী সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। শুক্রবার দুপুরে
ছবি: প্রথম আলো

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, ‘২০০৮ সালে আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারে অঙ্গীকার ছিল, আমরা শিক্ষার সব পর্যায়ের মান উন্নয়ন করব। এই শিক্ষাক্রমের পরিবর্তন দেখতে আরও তিন থেকে চার বছর সময় লাগবে।’ আজ শুক্রবার দুপুরে চাঁদপুর হাসান আলী সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘যে কাজগুলো শিক্ষার মান উন্নয়নে দরকার, সে কাজ আমরা খুব বড় আকারে করেছি। আমাদের একটি যুগোপযোগী শিক্ষাক্রম দরকার, আমরা সেই নতুন শিক্ষাক্রম, যেটা দিয়ে শিক্ষায় রূপান্তর ঘটে যাচ্ছে, সেটি প্রণয়ন করেছি এবং তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। আমাদের শিক্ষক দরকার হয়, আমরা ব্যাপকভাবে শিক্ষক প্রশিক্ষণ শরু করেছি। একই সঙ্গে অবকাঠামোগত উন্নয়ন লাগে, লাগসই প্রযুক্তি লাগে, সেগুলো ব্যবহার করছি। এ সবকিছু মিলিয়ে শিক্ষার যে গুণগতমান প্রাক্‌-প্রাথমিক থেকে শুরু করে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত ব্যবস্থা নিয়েছি, এটি এখনই দৃশ্যমান।’

দীপু মনি বলেন, প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা যে নতুন শিক্ষাক্রমে শিখছে, পুরো শিক্ষায় দৃষ্টিভঙ্গিতে ও তাদের দক্ষতায় যে বিরাট পরিবর্তন আসছে, এটি এখনই দৃশ্যমান।

সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, ‘নির্বাচন যেকোনো গণতান্ত্রিক দেশের জন্য গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে অন্যতম বাহক। প্রতিটি দেশ আইন অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠান করে। যাঁরা এখন আমাদের সঙ্গে এসে দেখা করছেন, তাঁদের দেশেও একইভাবে হয়। আমাদের সংবিধান আছে, নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য সব ব্যবস্থা আছে।’

যথা সময়ে, যথা নিয়মে, আইনকানুন মেনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘একটি বড় রাজনৈতিক দল হিসেবে আমাদের প্রত্যাশা সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। গত অনেক নির্বাচন মানুষের কাছে এবং সারা বিশ্বের কাছে প্রমাণিত সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন এই দেশে সম্ভব এবং হচ্ছে। কাজেই এখানে ভিন্ন কিছু চিন্তা করার কোনো অবকাশ নেই।’

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার মো. মিলন মাহমুদ, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান, জেলা বনবিষয়ক কর্মকর্তা মো. তাজুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সাফায়াত আহম্মেদ সিদ্দিকী প্রমুখ।