রাজন দাসসহ সিলেটের লিডিং ইউনিভার্সিটির দুই শিক্ষককে স্বপদে পুনর্বহালের নির্দেশনা ইউজিসির

সিলেটের লিডিং ইউনিভার্সিটির শহীদ মিনার
ফাইল ছবি

সিলেটের লিডিং ইউনিভার্সিটির স্থাপত্য বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দা জেরিনা হোসেইন এবং সহযোগী অধ্যাপক রাজন দাসের বহিষ্কারাদেশ অকার্যকর ঘোষণা করে তাঁদের স্বপদে পুনর্বহালের জন্য নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। আজ রোববার ইউজিসির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের পরিচালক মো. ওমর ফারুখ স্বাক্ষরিত এক পত্রে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে অবহিত করা হয়।

ওই পত্রে আরও বলা হয়, এ দুই শিক্ষকের সব সুযোগ–সুবিধাসহ তথাকথিত বহিষ্কারাদেশ স্বাক্ষরের তারিখ হতে স্বপদে পুনর্বহাল করে কমিশনকে অবহিত করতে হবে। একই সঙ্গে কোন এখতিয়ারবলে তাঁদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে, তার কারণ দর্শানোসহ ব্যাখ্যা তিন কার্যদিবসের মধ্যে কমিশনে পাঠাতে হবে।

গত ১২ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সৈয়দা জেরিনা হোসেইন ও রাজন দাসকে বরখাস্ত করে। এ সময় বহিষ্কৃত শিক্ষকেরা দাবি করেন, কোনো ধরনের কারণ ছাড়া তাঁদের অযৌক্তিভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন প্রতিবাদ কর্মসূচিও পালন করেন। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দাবি করেছিল, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও কারণের ভিত্তিতে তাঁদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ইউজিসি থেকে আজ ৯টি নির্দেশনা পালনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে।

নির্দেশনাগুলোর মধ্যে প্রথমটি হচ্ছে, বহিষ্কারাদেশ পাওয়া দুই শিক্ষককে পুনর্বহাল করা। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কাজী আজিজুল মাওলাকে চুক্তি অনুযায়ী বেতনভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রদান, সাদিকা জান্নাত চৌধুরী ও সাইদ আজমাইন আবদুল হাইকে বোর্ড অব ট্রাস্টিজ থেকে বাদ দেওয়া, তিন মাসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনিরীক্ষিত অর্থবছরের নিরীক্ষা কার্যক্রম সম্পন্ন করাসহ বিভিন্ন নির্দেশনা আছে।

ইউজিসির নির্দেশনা-সংবলিত পত্রের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মফিজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘দুপুর ১২টা পর্যন্ত আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিলাম। কিন্তু এমন কোনো নির্দেশনা-সংবলিত পত্র পাইনি। ই-মেইলে এল কি না, সেটা খোঁজ নিয়ে দেখব।’