বইয়ের প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়ছে

বিকাশ-প্রথম আলোর পক্ষ থেকে হবিগঞ্জের পাঁচটি পাঠাগারের মধ্যে বই বিতরণ করা হয়। আজ শনিবার দুপুরে হবিগঞ্জ পৌর পাঠাগারে
ছবি: প্রথম আলো

বই পড়ার বিকল্প নেই, জানার শেষ নেই। তাই বইয়ের প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়ছে, পাঠকও বাড়ছে। তরুণ প্রজন্ম শুধুই মোবাইল নিয়েই থাকে, তা নয়। তাঁদের একটি বড় অংশ বইয়ের প্রতিও ঝুঁকছে।

আজ শনিবার দুপুরে হবিগঞ্জে বিকাশ-প্রথম আলো বই বিতরণ অনুষ্ঠানে অতিথিরা এসব কথা বলেন। হবিগঞ্জ পৌর পাঠাগারে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে জেলার পাঁচটি পাঠাগারের মধ্যে সহস্রাধিক বই বিতরণ করা হয়।

বই বিতরণ অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নূরুল ইসলাম, সাহিত্যিক ও কবি তাহমিনা বেগম গিনি, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও খোয়াই ওয়াটার কিপারের সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল ও হবিগঞ্জ পৌর পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক তবারক আলী লস্কর। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রথম আলোর হবিগঞ্জ প্রতিনিধি হাফিজুর রহমান।

নুরুল ইসলাম বলেন, ‘বই থাকবে, বই নিয়ে গবেষণা চলতেই থাকবে। বেশি বেশি বই পড়লে সামাজিক পরিবর্তন আসবে। আমাদের সামাজিক যে অস্থিরতা, তা আর থাকবে না। তাই নতুন প্রজন্মকে বইয়ের দিকে উৎসাহিত করা সবার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।’
তাহমিনা বেগম বলেন, বই পড়ার বিকল্প নেই, জানার শেষ নেই। তাই বইয়ের প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়ছে, পাঠকও বাড়ছে।

তোফাজ্জল সোহেল বলেন, ‘আমরা প্রাতিষ্ঠানিক বইয়ের পাশাপাশি অন্যান্য বই যদি পড়ি, তা হলে আমরা নিজেদের সমৃদ্ধ করতে পারব এবং নতুন সমাজ তৈরি করতে পারব।’

তবারক আলী লস্কর বলেন, ‘বিকাশ ও প্রথম আলো বই বিতরণের যে উদ্যোগ নিয়েছে, তা প্রশংসনীয়। আমরা পাঠাগারগুলোর দিকে নজর দিলে দেখতে পাই, দিন দিন পাঠক বাড়ছে। মানুষের উৎসাহ বাড়ছে বইয়ের প্রতি।’

অনুষ্ঠানে হবিগঞ্জ বানিয়াচং উপজেলার আর এস জে এস গণ পাঠাগার ও ইকরা গণগ্রন্থাগার। হবিগঞ্জ এম এ রব পাঠাগার ও স্মৃতি যাদুঘর, হবিগঞ্জ পৌর পাঠাগার এবং মিরপুর পাবলিক লাইব্রেরির মধ্যে প্রায় সহস্রাধিক বই বিতরণ করা হয়। এ অনুষ্ঠানে সার্বিক সহযোগিতায় ছিল প্রথম আলো-বন্ধুসভা হবিগঞ্জ।