যারা প্রোপাগান্ডা করে, তাদের পাত্তা দেওয়ার মতো সময় আমাদের নেই: সারজিস আলম

সারজিস আলমছবি: প্রথম আলো

জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেছেন, ‘ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক প্রতিবেশী দেশের মতো হবে নাকি সম্পর্ক তিক্ততার হবে, সেটা ভারতই নির্ধারণ করবে তাদের কাজের মাধ্যমে। ভারত যদি মনে করে বিগত ১৬ বছর যেভাবে আওয়ামী লীগকে দল হিসেবে নিরাপত্তা দিয়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে শুষে খেয়েছে; এই সুযোগ বাংলাদেশের মানুষ আর দেবে না। এই সুযোগ দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের মানুষ জীবন দেয় নাই।’

আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় বগুড়া শহরের মালতিনগর এলাকায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। পারিবারিক কাজে মা–বাবাকে সঙ্গে নিয়ে সারজিস আলম প্রথমবারের মতো বগুড়ায় আসেন বলে জানিয়েছেন।

ভারতীয় গণমাধ্যমে অপপ্রচারের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সারজিস আলম বলেন, ‘যারা এ রকম প্রোপাগান্ডা করে, আমরা মনে করি তাদের পাত্তা দেওয়ার মতো সময় আমাদের নেই। কেউ যদি উসকানি দেওয়ার চেষ্টা করে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা করে, আমরা আমাদের সার্বভৌমত্বকে জীবন দিয়ে হলেও রক্ষা করার জন্য প্রস্তুত আছি।’

সারজিস আলম আরও বলেন, ‘শুধু ভারত নয়, পৃথিবীর যেকোনো দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক হবে সম্মান ও সমতার। কোনো দাসত্বের সম্পর্ক বাংলাদেশের মানুষ আর মেনে নেবে না। এটা যারাই করার চেষ্টা করেছে তাদের পরিস্থিতি কী হয়েছে, সেটা বাংলাদেশের মানুষ দেখেছে, গোটা বিশ্বের মানুষ দেখেছে।’  

সারজিস আলম বলেন, বিগত ১৬ বছরে বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে যে জেলাটি সবচেয়ে বেশি নামের কারণে বৈষম্যের শিকার, সেটি হচ্ছে বগুড়া। এই বগুড়া নিয়ে অনেক কিছু কাজ করার রয়েছে। জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ১৬টি জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ত্যাগ স্বীকার করেছে বগুড়া জেলা। সবচেয়ে বেশি শহীদ হয়েছে, আহত হয়েছে এই বগুড়া জেলায়।

তিনি বলেন, ‘অভ্যুত্থানের চার মাস হয়ে গেল। এই চার মাসে আসলে সত্যি কথা বলতে আমাদের প্রত্যাশা যতটা ছিল, ততটা পূরণ হয়নি। ৫ আগস্ট এত রক্ত, এত জীবনের বিনিময়ে যে নতুন একটা স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে, সেটার প্রত্যাশার পারদ ছিল সর্বোচ্চ লেভেলে। ওই লেভেল পর্যন্ত প্রত্যাশা পূরণ করা আদৌ সম্ভব কি না, আমি জানি না। তবে এই প্রত্যাশার পারদ একটা স্ট্যান্ডার্ড লেভেল পর্যন্ত নেমে আসবে। এই সরকারের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ওই স্ট্যান্ডার্ডটা অন্তত পূরণ করা।’