সাতকানিয়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় একজন নিহত, গ্রেপ্তার চার ভাই
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় পূর্বশত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় মো. দিদারুল আলম (৪৫) নামের একজন নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার এওচিয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের দেওদীঘি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে আজ রোববার ভোরে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা হলেন দেওদীঘির ফয়েজুর রহমান সওদাগর বাড়ির মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে মো. সরওয়ার আজম (৫০), মো. সাইফুল আজম (৪১), মো. নাজিম উদ্দীন (৩৪) ও মো. নুরুল ইসলাম আজিম (৩০)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় মসজিদ কমিটি নিয়ে মো. সরওয়ার আজমদের সঙ্গে দিদারুল আলমদের বিরোধ চলছিল। সম্প্রতি কোরবানির পশুর হাট ঘিরেও দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। গতকাল রাতে দিদারুল আলমদের এক স্বজনের বিয়ের বিষয়ে বাড়ির পাশে বৈঠক চলছিল। এ সময় দেশীয় অস্ত্র হাতে প্রতিপক্ষের লোকজন সেখানে হামলা চালান। বুকে আঘাত পেয়ে দিদারুল আলম ঘটনাস্থলেই মারা যান।
নিহত ব্যক্তির ছোট ভাই মো. শহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘স্থানীয় মসজিদ কমিটি নিয়ে তাঁদের সঙ্গে আমাদের বিরোধ ছিল। গতকাল রাতে আমার এক ভাতিজার বিয়ে নিয়ে পারিবারিক বৈঠক চলছিল। এ সময় সরওয়ার আজমসহ ২০ থেকে ৩০ জন বৈঠকে এসে হামলা করেন। তাঁদের হাতে থাকা শাবলের আঘাতে আমার বড় ভাই দিদারুল আলম নিহত হয়েছেন।’
অন্যদিকে গ্রেপ্তার হওয়া সরওয়ার আজমের ভাগনে জিল্লুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘মামাদের সঙ্গে মসজিদ কমিটি ও কোরবানির পশুর হাটে চাঁদা তোলা নিয়ে কিছু মানুষের সঙ্গে দ্বন্দ্ব ছিল সত্য, তবে দিদারুল আলমের সঙ্গে কোনো দ্বন্দ্ব ছিল না। তাঁদের ভাইদের মধ্যেই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ ছিল বলে শুনেছি। ওই বিরোধের জেরে ভাইদের মধ্যেই ঝগড়া করতে গিয়ে দিদারুল আলম হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।’
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহেদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, মসজিদ কমিটি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কিছুদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। ঘটনার খবর শোনার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে যৌথ বাহিনীর অভিযানে চার সহোদর ভাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নিহত দিদারুল আলমের ছোট ভাই বাদী হয়ে আজ সকালে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পরই দিদারুল আলমের মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।