ক্যানুলা লাগানো নবজাতককে জঙ্গলে ফেলে গেল কে?

নবজাতক
প্রতীকী ছবি

নোয়াখালীর সেনবাগের একটি জঙ্গল থেকে গত বৃহস্পতিবার যে নবজাতককে উদ্ধার করা হয়েছে, তার হাতে ক্যানুলা লাগানো ছিল। ডায়াপার পরানো ছিল। নাভিতে আটকানো একটি প্লাস্টিকের ক্লিপ, যেটি সাধারণত হাসপাতালে কোনো শিশুর জন্মের পর নাড়ি কেটে লাগিয়ে দেওয়া হয়। এসব কারণে স্থানীয় লোকজনের সন্দেহ, নবজাতককে কোনো জায়গা থেকে চুরি করে আনার পর কোনো কারণে ওই জঙ্গলে ফেলে দেওয়া হতে পারে।

উদ্ধারের পর নবজাতককে প্রথমে সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, পরে বেগমগঞ্জের চৌমুহনীর একটি বেসরকারি শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে নবজাতকটির চিকিৎসা চলছে।

শিশুটির চিকিৎসার তত্ত্বাবধান করছেন মো. সাব্বির। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, নবজাতকটি উদ্ধারের পরপর বেশ অসুস্থ ছিল। হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক অবস্থা খারাপ দেখে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দ্রুত জেলা সদরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। তাঁরা সেখানে না নিয়ে বেগমগঞ্জের চৌমুহনীর মা ও শিশু হাসপাতালে নিয়ে যান।

সাব্বিরের বাবা ইয়াছিন মজুমদার প্রথম আলোকে বলেন, নবজাতককে যখন জঙ্গলে পাওয়া যায়, তখন তার বাঁ হাতে ক্যানুলা লাগানো ছিল। দেখে মনে হচ্ছিল, কোনো হাসপাতালে জন্ম হয়েছে। কেউ নবজাতককে চুরি করে নিয়ে এসে এখানে ফেলে গেছেন। কিন্তু গত তিন দিনে আশপাশের এলাকা থেকে কারও শিশু চুরির কথা শোনা যায়নি। নবজাতককে যখন পাওয়া গেছে, তখন এর বয়স এক দিন কিংবা দুই দিন।

সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, জঙ্গল থেকে জীবিত নবজাতক উদ্ধারের তথ্য পাওয়ার পর পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে দেখে এসেছে। তবে শিশুটি চুরি হওয়া কি না সে বিষয়ে পুলিশ এখনো নিশ্চিত নয়। গত তিন দিনে কেউ এ তথ্য নিয়ে থানায় আসেনি। তবে তারা নবজাতকের প্রকৃত অভিভাবককে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।