আবাসিক হলের পাশে গাছ কেটে ভবন নির্মাণ, প্রতিবাদে মানববন্ধন

স্পোর্টস কমপ্লেক্স ভবনের নির্মাণকাজ বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন মীর মশাররফ হোসেন হলের একদল শিক্ষার্থী
ছবি: মাইদুল ইসলাম

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলের পাশে স্পোর্টস কমপ্লেক্স ভবনের নির্মাণকাজ বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ওই হলের একদল শিক্ষার্থী। আজ বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটার দিকে মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রশাসনিক কার্যালয়ের সামনের সড়কে এ মানববন্ধন করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ হাজার ৪৪৫ কোটি ৩৬ লাখ টাকার অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলছে। ২০১৮ সালের শেষ দিকে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। প্রকল্পের আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের দক্ষিণ দিকে মীর মশাররফ হোসেন হলের পাশে ছয়তলাবিশিষ্ট স্পোর্টস কমপ্লেক্স নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। এ জন্য হলের পাশে শতাধিক গাছ কেটে ফেলা হয়েছে।

ওই কমপ্লেক্স নির্মাণ বন্ধের দাবিতে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা ‘পরিবেশের ক্ষতি করে এ কেমন উন্নয়ন’, ‘সুইমিংপুলে সাঁতার কাটতে চাই না, অক্সিজেন চাই’, ‘উন্নয়নের নামে পরিবেশ ধ্বংসের পরিকল্পনা বন্ধ করো’, ‘যারা গাছ কেটে পরিবেশের ক্ষতি করছে, তারা খুনি’, ‘সাঁতার নয়, পড়াশোনার সুষ্ঠু পরিবেশ চাই’ লেখাসংবলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।

মানববন্ধন চলাকালে আইন বিভাগের শিক্ষার্থী সাইমুন ইসলাম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি সুইমিংপুল আছে। সেটা ফেলে রেখে টাকা নষ্ট করে নতুন স্পোর্টস কমপ্লেক্সে সুইমিংপুলের কী প্রয়োজন? আগের সুইমিংপুল মেরামত করলেই হয়। স্পোর্টস কমপ্লেক্স বানাতে গিয়ে মীর মশাররফ হলের বাইপাস সড়ক অদৃশ্য করে ফেলা হয়েছে।’

ছয়তলাবিশিষ্ট স্পোর্টস কমপ্লেক্স নির্মাণের জন্য মীর মশাররফ হোসেন হলের পাশে শতাধিক গাছ কেটে ফেলা হয়েছে
ছবি: মাইদুল ইসলাম

উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী উৎপল কুমার রায় বলেন, এই নির্মাণকাজ একেবারেই অপ্রয়োজনীয়। সবুজ ক্যাম্পাস হিসেবে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা পরিচিতি আছে। গাছপালা এখানকার পরিবেশের সৌন্দর্য নির্দেশ করে। কিন্তু উন্নয়নের নামে অনেক গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। অবিলম্বে অপরিকল্পিত স্থাপনা নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হোক।

এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক নাসির উদ্দিনের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।