টোল নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডায় সিলেটে দুই দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত অর্ধশত

গতকাল রাত সাড়ে ৯টার দিকে দেশি অস্ত্রসহ বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজি ইউনিয়নের মির্জারগাঁও এবং পাঁচগাঁওয়ের বাসিন্দারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন
ছবি: সংগৃহীত

সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় একটি টোল প্লাজায় টোল আদায় নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডার জেরে সংঘর্ষে জড়িয়েছে দুটি গ্রামের বাসিন্দারা। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের লামাকাজি সেতু এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়। এতে পুলিশের পাঁচ সদস্যসহ উভয় গ্রামের অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, লামাকাজি সেতুর টোলের টাকা আদায় করেন স্থানীয় পাঁচগাঁওয়ের অন্তর্ভুক্ত কেশবপুর গ্রামের ফয়জুল ও দুলাল। গতকাল রাত ৯টার দিকে পার্শ্ববর্তী জাঙ্গাইল গ্রামের এক সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকের সঙ্গে টোলের টাকা আদায় নিয়ে তাঁদের কথা-কাটাকাটি হয়। ওই অটোরিকশাচালক মির্জারগাঁওয়ের এক ব্যক্তির আত্মীয় হন। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে দেশি অস্ত্রসহ মির্জারগাঁও এবং পাঁচগাঁওয়ের বাসিন্দারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।

লামাকাজি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির হোসেন বলেন, উভয় পক্ষের মধ্যে প্রায় দেড় ঘণ্টা পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়েছে। এ সময় সড়কের দুই পাশে শতাধিক যানবাহন আটকে পড়ে। রাত ১১টার দিকে বিশ্বনাথ থানা ও নগরের জালালাবাদ থানা-পুলিশ এবং জেলার রিজার্ভ বেঞ্চের পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রায় দুই ঘণ্টা পর পুলিশের সহযোগিতায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। এ ছাড়া ছয়তলাবিশিষ্ট ‘আমানিয়া অ্যান্ড ইনিয়া’ মার্কেট, ব্যাংকসহ শতাধিক প্রতিষ্ঠান, দোকানপাটে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়।

বিশ্বনাথ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, রাত ১১টার দিকে পুলিশ ৭টি কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী আতাউর রহমানসহ পাঁচজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। মাথায় আঘাত পাওয়ায় ওসিকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। রাতের বেলা সংঘর্ষ হওয়ায় উভয় গ্রামের আহত লোকের সঠিক সংখ্যা জানা যায়নি। তবে অন্তত অর্ধশত লোক আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে।