রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মারধরের অভিযোগে সড়ক অবরোধ, ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম

মারধরের বিষয়টি জানাজানি হলে শিক্ষার্থীরা রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়কে নেমে বিক্ষোভ শুরু করেন। গতকাল শুক্রবার রাতে নগরের পার্ক মোড়ে
ছবি: মঈনুল ইসলাম

রংপুরে বাসচালক ও চালকের সহযোগীদের বিরুদ্ধের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ তুলে রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। গতকাল শুক্রবার রাত ১০টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে অবরোধ কর্মসূচি চলে।

এতে লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী বাসসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে মারধরের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের আলটিমেটাম দিয়ে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেন।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল সন্ধ্যায় রংপুরের মর্ডান মোড়ে বাসের ভাড়া নিয়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থীর সঙ্গে কুড়িগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা বগুড়াগামী বাসের চালক ও সহযোগীদের বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে বাসের চালক ও সহযোগীরা ওই পাঁচ শিক্ষাথীকে আটকে রেখে মারধর করেন। পরে ওই পাঁচ শিক্ষার্থীকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এদিকে মারধরের বিষয়টি জানাজানি হলে রাত ১০টার দিকে শিক্ষার্থীরা রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়কে নেমে বিক্ষোভ শুরু করেন। এতে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে রাত ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন শিক্ষার্থীরা। তবে ওই ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় আনার জন্য ২৪ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

আহত পাঁচ শিক্ষার্থী হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আশিক মণ্ডল, আলামিন, নয়ন, ফয়সাল হোসেন ও নাহিদ হোসেন। আহত শিক্ষার্থীরা বর্তমানে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

মার্কেটিং বিভাগের প্রধান শেখ মাজেদুল হক বলেন, ‘বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমার শিক্ষার্থীরা আহত হোক, এমন কোনো ঘটনার পুনরাবৃত্তি চাই না। অপরাধীদের দ্রুত শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর গোলাম রব্বানী বলেন, আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।

রংপুর মেট্রোপলিটন তাজহাট থানার উপপরিদর্শক হোসেন আলী বলেন, অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনতে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাসটি খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।