অপরাধীর শাস্তি হলে কেউ অপরাধ করার সাহস দেখাবে না: আসাদুজ্জামান নূর

নীলফামারীতে কমিউনিটি পুলিশিং দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর। শনিবার দুপুরে পুলিশ লাইনস মিলনায়তনে
ছবি: প্রথম আলো

অপরাধপ্রবণতা কমিয়ে আনতে পুলিশের পাশাপাশি প্রত্যেককে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন নীলফামারী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে কমিউনিটি পুলিশিং দিবস উপলক্ষে নীলফামারী পুলিশ লাইনস মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ‘অপরাধপ্রবণতা কমিয়ে আনতে পুলিশের পাশাপাশি আমাদের প্রত্যেককে এগিয়ে আসতে হবে। কমিউনিটি পুলিশিং এ লক্ষ্যে সৃষ্টি করা হয়েছে। আমরা যদি পুলিশকে সহযোগিতা করি, তাহলে অপরাধীর সংখ্যা কমে আসবে। আমরা নিরাপদে থাকতে পারব।’

আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ‘আমরা অনেকে অপরাধীদের প্রশ্রয় দিই। আমরা জানি, তিনি অপরাধ করেছেন, তারপরও এটা করি। একজন অপরাধীর যদি শাস্তি হয়, তাহলে আরেকজন অপরাধ করার সাহস দেখাবে না।’

‘কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মূলমন্ত্র, শান্তি–শৃঙ্খলা সর্বত্র’ প্রতিপাদ্যে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে নীলফামারীতে কমিউনিটি পুলিশিং দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে বেলা ১১টায় পুলিশ লাইনস মাঠ থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুলিশ লাইনস মিলনায়তনে আলোচনা সভায় মিলিত হয়।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন, নীলফামারী পৌরসভার মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মমতাজুল হক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আমিরুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল হক, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদ, জেলা শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি এস এম শফিকুল আলম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে কমিউনিটি পুলিশিংয়ে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য জেলা কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সভাপতি পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ ও সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মীর মো. সাজ্জাদ হোসেনকে জেলা পর্যায়ে সম্মাননা দেওয়া হয়। এর আগে পুলিশ লাইনস মাঠে বেলুন উড়িয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্রতিবছর অক্টোবর মাসের শেষ শনিবার সারা দেশে একযোগে কমিউনিটি পুলিশিং দিবস পালিত হয়। অপরাধ দমনে প্রত্যেককে এগিয়ে আসতে হবে। যারা অপরাধী, তাদের শাস্তি পেতে হবে। শাস্তির আওতায় এলে অপরাধ কমে আসবে।