নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে আবারও গোলাগুলি, গ্রামবাসী আতঙ্কে

নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তছবি: সংগৃহীত

বান্দরবানে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে আবারও গোলাগুলি শুরু হয়েছে। দুই দিন বন্ধ থাকার পর আজ শনিবার বেলা পৌনে তিনটার দিকে গোলাগুলি শুরু হয়। আজ বিকেল সাড়ে চারটায় এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত গোলাগুলি চলছে। এতে ওই সীমান্তসংলগ্ন বাংলাদেশের বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দারা আতঙ্কে রয়েছেন।

সীমান্তের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, মিয়ানমারে বিদ্রোহী দল আরকান আর্মি ও সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) মধ্যে এই গোলাগুলি চলছে।
নাইক্ষ্যংছড়ির কয়েকজন জনপ্রতিনিধি জানান, যে এলাকা থেকে গোলাগুলির শব্দ আসছে, সেখানে বিজিপির তুমব্রু রাইট ক্যাম্প এবং ঢেঁকিবনিয়া সীমান্তচৌকি অবস্থিত। এই দুটি স্থাপনা ছাড়া আশপাশের প্রায় ৪৮ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকায় বিজিপির বাকি সব চৌকি আরাকান আর্মি এরই মধ্যে দখলে নিয়েছে। বাকি দুটি স্থাপনা দখলে নেওয়ার উদ্দেশ্যে সেখানে আরাকান আর্মির হামলা চলছে। আজ সকাল থেকে বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে ওপারে সশস্ত্র ব্যক্তিদের তৎপরতা দেখা যাচ্ছিল। বেলা পৌনে তিনটা থেকে গোলাগুলি শুরু হয়।

ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, মিয়ানমারের ওই দুটি সীমান্তচৌকিতে আগে এত প্রচণ্ড গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়নি। এবার গোলাগুলির শব্দের তীব্রতা বেশি হওয়ায় সীমান্তবর্তী বাংলাদেশের মানুষকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

এর আগে গত ২৯ জানুয়ারি ও ৩১ জানুয়ারি দুবার বিজিপির ওই দুটি স্থাপনায় আক্রমণ চালানো হয়। ওই সময় বিস্ফোরিত মর্টারশেল ও গোলার অন্তত চারটি অংশ বাংলাদেশের তুমব্রু, কোণারপাড়া ও পশ্চিম ঘুমধুমে এসে পড়ে। এরপর জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন ও পুলিশ সুপার সৈকত শাহিন ঘুমধুম সীমান্ত পরিদর্শন করেন।

জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, রাখাইন রাজ্যে গোলযোগপূর্ণ অবস্থা চলছে। খুব স্বাভাবিকভাবে সীমান্তবর্তী এলাকায়ও গোলাগুলি হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে বিজিবি, পুলিশসহ নিরাপত্তা বাহিনী যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সীমান্তে সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।