৬ মাসের সাজা এড়াতে পালিয়ে ছিলেন ৪ বছর, ঈদে বাড়িতে এসে গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তার
প্রতীকী ছবি

ফেনীর সোনাগাজীতে চেক প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় করা মামলায় ৬ মাসের কারাদণ্ড এবং ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকার অর্থদণ্ড পেয়েছিলেন দ্বীন মোহাম্মদ (৪০)। সেই সাজা থেকে বাঁচতে নাম-পরিচয় গোপন করে তিনি সাড়ে চার বছর চট্টগ্রামে পালিয়ে ছিলেন। ঈদ করতে বাড়িতে এলে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার কাজীরহাট এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

দ্বীন মোহাম্মদ উপজেলার চর দরবেশ ইউনিয়নের সেনেরখিল এলাকার নুর মোহাম্মদের ছেলে।

সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুদ্বীপ রায় বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজ শুক্রবার তাঁকে আদালতের মাধ্যমে ফেনীর কারাগারে পাঠানো হবে।

সাক্ষ্যপ্রমাণে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় আদালত তাঁকে মামলায় ৬ মাসের কারাদণ্ড ও ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন।

থানা-পুলিশ জানায়, ২০২০ সালে প্রতারণা এবং চেক প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দ্বীন মোহাম্মদের বিরুদ্ধে খাগড়াছড়ির আদালতে একটি মামলা হয়। ওই মামলায় পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়। মাসখানেক কারাভোগের পর জামিনে বের হয়ে তিনি গা ঢাকা দিয়ে আত্মগোপনে চলে যান। আর আদালতে হাজির হননি। সাক্ষ্যপ্রমাণে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত তাঁকে মামলায় ৬ মাসের কারাদণ্ড ও ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন। একই অভিযোগে ফেনী ও চট্টগ্রামের আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন।

সোনাগাজী থানার উপপরিদর্শক মো. মাহবুব আলম সরকার প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেপ্তার এড়াতে দ্বীন মোহাম্মদ প্রায়ই স্থান পরিবর্তন করতেন। এক ব্যক্তির মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন, দ্বীন মোহাম্মদ গ্রেপ্তারের ভয়ে নাম-পরিচয় গোপন করে চট্টগ্রামে আত্মগোপনে আছেন। মাঝেমধ্যে রাতে বাড়িতে এসে আবার ভোর হওয়ার আগে চলে যান। পরে ওই ব্যক্তির কাছ থেকে মুঠোফোন নম্বর ও ছবি সংগ্রহ করেন। সেই নম্বরের সূত্র ধরে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন, ঈদ করতে দ্বীন মোহাম্মদ কাজীরহাটে বাড়িতে এসেছেন। তখন অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।