জয়পুরহাটে গৃহবধূকে হত্যার পর আত্মহত্যা বলে চালানোর অভিযোগ, মামলা

জয়পুরহাট জেলার মানচিত্র

জয়পুরহাট সদর উপজেলায় গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার পর ঘরের আড়ার সঙ্গে লাশ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে।

রোববার দুপুরে সদর উপজেলার দাদরা জন্তিগ্রাম মধ্যপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।  
মারা যাওয়া গৃহবধূর নাম মিতু আক্তার (৩৪)। তিনি ওই গ্রামের আবদুস ছাত্তার ওরফে বোতলের স্ত্রী। তাঁদের তিনটি সন্তান রয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইশতিয়াক আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘স্থানীয় ব্যক্তিদের কাছ থেকে খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসে ওই গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছি। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য জয়পুরহাট আধুনিক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। লাশের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।’

জয়পুরহাট সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম সরোয়ার বলেন, এ ঘটনায় মারা যাওয়া গৃহবধূর বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। ঘটনার পর থেকে ওই গৃহবধূর স্বামী পলাতক।

ওই গৃহবধূর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দেড় যুগ আগে দাদরা জন্তিগ্রামের আবদুস ছাত্তারের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী শুকতাহার গ্রামের মিতু আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে মিতুকে নির্যাতন করে আসছিলেন ছাত্তার। স্বামীকে কয়েক দফায় বাবার বাড়ি থেকে যৌতুকের টাকা এনেও দিয়েছিলেন মিতু। এরপর বাবার বাড়ি থেকে আবার টাকা আনার জন্য স্ত্রীকে চাপ দিচ্ছিলেন ছাত্তার। এটা নিয়ে তাঁদের মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকত।

রোববার সকালে যৌতুকের টাকার জন্য স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে মিতুকে মারধর করেন ছাত্তার। পরে দুপুরে শোবার ঘরের বাঁশের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না প্যাঁচানো মিতুর লাশ ঝুলতে দেখেন পরিবারের লোকজন। পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

মিতু আক্তারের চাচা বকুল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার ভাতিজিকে যৌতুকের দাবিতে তার স্বামী প্রায়ই মারধর করত। আজ মেয়েটাকে মেরেই ফেলল। পরে ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল।’