বেনাপোল দিয়ে ১১৭০ টন পেঁয়াজ আমদানি
যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে গত ১০ দিনে ১ হাজার ১৭০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। এর মধ্যে শুধু আজ বৃহস্পতিবার ১২টি ট্রাকে ৩০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ বন্দরে প্রবেশ করেছে। তবুও খুচরা পেঁয়াজের বাজারে খুব বেশি প্রভাব পড়েনি।
এ বিষয়ে বেনাপোল বন্দরের সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান বলেন, ৫ জুন ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। গত ১০ দিনে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ১ হাজার ১৭০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
বন্দর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সূত্রে জানা গেছে, পেঁয়াজের ফসল ঘরে তোলার সময়ে কৃষকদের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে গত ১৫ মার্চ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি বন্ধ রাখে সরকার। দেশে চাহিদার বিপরীতে আমদানি ও পর্যাপ্ত মজুত থাকলেও অতিরিক্ত মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে মে মাসের মাঝামাঝি থেকে দাম বাড়াতে থাকেন। ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরের পেঁয়াজ মানুষকে কিনতে হয়েছিল ৯০ থেকে ১০০ টাকায়। এতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। অবশেষে বাজার নিয়ন্ত্রণে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয় সরকার।
আমদানির খবরে কয়েকটি জেলায় পেঁয়াজের দাম কমলেও যশোর শহরের বড়বাজারে এখনো দেশি পেঁয়াজ ৭০ থেকে ৮০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৬০ টাকায় খুচরা বিক্রি হচ্ছে।
পেঁয়াজ পচনশীল পণ্য। আমদানির পর যাতে বন্দরে পেঁয়াজ পড়ে না থাকে, সে জন্য বন্দর ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষের তৎপরতা রয়েছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আবদুল জলিল বলেন, প্রায় তিন মাস বন্ধ থাকার পর বেনাপোল দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। তবে ভোমরা, হিলি, সোনামসজিদ স্থলবন্দরের তুলনায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানির পরিমাণ কম। আমদানিকারকেরা যাতে দ্রুত পেঁয়াজ বন্দর থেকে খালাস নিতে পারেন, তার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া আছে।