শেরপুরে সপ্তাহের ব্যবধানে আরও এক অটোরিকশাচালকের লাশ উদ্ধার

লাশ
প্রতীকী ছবি

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় এক সপ্তাহের ব্যবধানে মো. শাহ আলম (৪০) নামের আরেক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ রোববার সকাল নয়টার দিকে উপজেলার ধানশাইল ইউনিয়নের কুচনীপাড়া গ্রামের এক ধানখেতের পাশ থেকে গলায় রশি বাঁধা লাশটি উদ্ধার করে ঝিনাইগাতী থানার পুলিশ।

নিহত শাহ আলম শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার গোসাইপুর ইউনিয়নের ধাতুয়া আড়াইলেরকান্দা গ্রামের জসিম উদ্দিনের ছেলে। ২ অক্টোবর ঝিনাইগাতী উপজেলার বড় রাংটিয়া এলাকার সীমান্ত সড়কের পাশের একটি খাল থেকে আরব আলী (২১) নামের এক অটোচালকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত আরব আলী উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের পূর্ব বনগাঁও এলাকার আবদুছ ছালামের ছেলে। এ নিয়ে চলতি মাসে দুজন অটোরিকশাচালকের লাশ উদ্ধার করল পুলিশ। আরব আলী হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে এরই মধ্যে সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বর্তমানে তাঁরা জেলা কারাগারে বন্দী।

নিহত শাহ আলমের স্বজন, পুলিশ ও জনপ্রতিনিধি সূত্রে জানা যায়, অটোরিকশাচালক শাহ আলম ঢাকায় দিনমজুর হিসেবে কাজ করতেন। ঢাকায় স্বল্প আয়ে সংসার চালাতে না পেরে তিনি গ্রামে ফিরে আসেন। কয়েক মাস আগে প্রায় দুই লাখ টাকা দিয়ে একটি অটোরিকশা কিনে চালানো শুরু করেন। গতকাল সন্ধ্যায় শাহ আলম তাঁর অটোরিকশাটি নিয়ে ধাতুয়া আড়াইলেরকান্দা গ্রামের বাড়ি থেকে বের হন। তিনি আর রাতে বাড়ি ফেরেননি। পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর সন্ধান পাননি। এরপর আজ সকালে এলাকার কয়েকজন ঝিনাইগাতী উপজেলার কুচনীপাড়া গ্রামের একটি ধানখেতের পাশে লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে ঝিনাইগাতী থানার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে। পরে শ্রীবরদীর গোসাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত নারী সদস্য শিখা বেগম উদ্ধার হওয়া লাশটি অটোচালক শাহ আলমের বলে শনাক্ত করেন। খবর পেয়ে স্বজনেরাও ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি শাহ আলমের বলে শনাক্ত করেন।

শেরপুর জেলা পুলিশ সুপার মোনালিসা বেগম, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (ঝিনাইগাতী সার্কেল) মো. দিদারুল ইসলাম, ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল আলম ভূঁইয়াসহ থানার অন্য পুলিশ সদস্যরা আজ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

আজ দুপুরে ওসি মনিরুল আলম ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশের সুরতহাল প্রতিবেদনে নিহত শাহ আলমের গলায় রশি দিয়ে বাঁধার চিহ্ন দেখা গেছে। লাশের ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

পুলিশ সুপার মোনালিসা বেগম প্রথম আলোকে বলেন, অটোরিকশাচালক শাহ আলমকে কারা এবং কী কারণে হত্যা করেছে, সে বিষয়ে তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। সেই সঙ্গে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের ধরার চেষ্টা চলছে।