বেনাপোল এক্সপ্রেসের যাত্রাবিরতির দাবিতে আলমডাঙ্গায় ট্রেন থামিয়ে মানববন্ধন
যশোরের বেনাপোল থেকে ঢাকার পথে চলাচলকারী আন্তনগর বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবিতে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় ট্রেন থামিয়ে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় লোকজন। আজ শনিবার বিকেলে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। আলমডাঙ্গা নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে এ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছিল।
পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বিকেল চারটায় স্থানীয় বিভিন্ন পেশাজীবী ও সামাজিক সংগঠনের সদস্যরা আলমডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম ও রেললাইনের ওপর জড়ো হন। পরে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেন থামিয়ে দাবির পক্ষে বক্তব্য ও স্লোগান দিতে থাকেন। কর্মসূচি চলাকালে ঢাকা থেকে মুঠোফোনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ইয়াসিন আলী আগামী পরশুর (৬ জানুয়ারি) মধ্যে ট্রেনটির যাত্রাবিরতি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিলে কর্মসূচি স্থগিত করা হয়।
কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন আলমডাঙ্গা নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব হাবিবুল করিম, শিক্ষক এমদাদ হোসেন, আলমডাঙ্গা কলাকেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, আলমডাঙ্গা বণিক সমিতির সভাপতি আরেফিন রহমান, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আব্দুল্লাহ আল মামুন, হাটবোয়ালিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আবদুর রহিম, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বিশ্বাস ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থানীয় সমন্বয়ক মুসার তৌহিদ প্রমুখ।
দাবির সঙ্গে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ মেহেদী ইসলাম ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান। মুঠোফোনে সংযুক্ত হয়ে সংহতি প্রকাশ করেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক আবু সালেহ মোস্তফা কামাল।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিকেল চারটার পরপরই ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে লোকজন রেলপথ অবরোধ করে মানববন্ধন শুরু করেন। বিকেল ৪টা ১৭ মিনিটে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটি আলমডাঙ্গা স্টেশনে পৌঁছালে রেলপথের ওপর কেউ কেউ শুয়ে পড়েন। ঘোষণা দেওয়া হয়, রেলওয়ের দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষ ট্রেনের যাত্রাবিরতির নিশ্চয়তা না দেওয়া পর্যন্ত ট্রেনটি চলতে দেওয়া হবে না।
পরে বিকেল ৫টা ৪৭ মিনিটে ঢাকা থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ইয়াসিন আলী সংযুক্ত হয়ে আশ্বস্ত করেন, রেল উপদেষ্টার সঙ্গে যোগাযোগ করে ৬ জানুয়ারির মধ্যে আলমডাঙ্গায় বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রাবিরতি নিশ্চিত করবেন। তবে সময়সূচি নির্ধারণ ও টিকিট মুদ্রণে তিনি প্রয়োজনীয় সময় দিতে আন্দোলনকারী কাছ থেকে সময় চেয়ে নেন। এরপর আলমডাঙ্গা নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করেন।