রাজশাহীতে গভীর রাতে একজনকে কুপিয়ে হত্যা

কুপিয়ে হত্যা
প্রতীকী ছবি

রাজশাহীর তানোর উপজেলায় গভীর রাতে একজনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ অভিযোগ করেছেন নিহত ব্যক্তির বোন। আজ বুধবার সকালে উপজেলার বিলশহর গ্রামের পাকা সড়ক থেকে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করেছে। একুশের প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ওই ব্যক্তি হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন বলে ধারণা পুলিশের।

নিহত ব্যক্তির নাম জিয়ারুল রহমান (৪৫)। তিনি তানোর উপজেলার বিলশহর গ্রামের মহির মণ্ডলের ছেলে। তিনি গভীর নলকূপ চালানোর কাজ করতেন।

নিহত জিয়ারুলের বোন সুখীমন বলেন, সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী আসার কথা শুনে তাঁর ভাই গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা সদরে তাঁকে ফুল দিতে যান। তাঁর ভাই সংসদ সদস্যের গলায় মালা দিয়েছেন বলে তিনি শুনেছেন। সেখানে কারা যেন তাঁকে শাসিয়েছে। রাতে আর ভাই বাড়ি ফিরে আসেননি। আজ সকালে খবর পান গ্রামে ঢোকার পথেই তাঁর ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় তাঁর বড় ভাই রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করবেন। তাঁরা এই হত্যার বিচার চান।

এ বিষয়ে আজ সকাল সোয়া ১০টার দিকে রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী মুঠোফোনে বলেন, কোনো খুনের খবর তিনি পাননি। গতকাল রাত সাড়ে ১১টার সময় তিনি তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে গিয়ে বসেন। তাঁর সঙ্গে ইউএনও, তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), উপজেলার চেয়ারম্যানসহ উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা ছিলেন। দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে তাঁদের নিয়ে শহীদ মিনারে যখন ফুল দিতে যান, তখন প্রায় হাজারখানেক নেতা-কর্মী তাঁর সঙ্গে ছিলেন। কেউ তাঁকে মালা দেননি। জিয়ারুল নামের কাউকে তিনি চিনতে পারছেন না।

তানোর থানার ওসির দায়িত্বে থাকা উপপরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, তিনি শুনেছেন, তানোর উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে রাতে ওই ব্যক্তি হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। তাঁর ঘাড়ের ডান দিকে ধারালো অস্ত্রের আঘাত আছে। হাতের কবজি ও পায়ের গোড়ালির ওপর ক্ষত আছে। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি।