জমি অধিগ্রহণে জটিলতায় কয়রায় মডেল মসজিদ নির্মাণে অনিশ্চয়তা
কয়রায় মডেল মসজিদ নির্মাণের কাজ ২০২০ সালে শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু সঠিকভাবে জমি অধিগ্রহণ না করায় আজও ওই কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি।
জমি অধিগ্রহণের জটিলতায় খুলনার কয়রা উপজেলায় মডেল মসজিদ ও ইসলামি সংস্কৃতি কেন্দ্র নির্মাণে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। ২০২০ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে কয়রায় মসজিদটির নির্মাণকাজ শেষ হওয়ায় কথা ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের তিন বছর পরও ১৬ শতক জমি অধিগ্রহণ করতে না পারায় এই মসজিদের নির্মাণকাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি। এ অবস্থায় নির্মাণকাজ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সরে দাঁড়িয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এতে নির্মাণ শেষ করা নিয়ে সংকট আরও ঘনীভূত হয়েছে।
খুলনা গণপূর্ত বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চার বছর আগে কয়রা উপজেলা সদরের তিন রাস্তার মোড়সংলগ্ন এলাকায় মডেল মসজিদ ও ইসলামি সংস্কৃতি কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ৪৬ শতক জমির ওপর মসজিদটি নির্মাণের জন্য ব্যয় ধরা হয় ১৩ কোটি ১২ লাখ ৩১ হাজার টাকা। ২০১৯ সালের ১৯ মে নির্মাণকাজ বাস্তবায়নের জন্য মধু ট্রেডার্স নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি প্রাথমিকভাবে বালু ভরাট ও পাইলিংয়ের কাজ করে। কিন্তু নকশা অনুযায়ী মসজিদ নির্মাণের জন্য নির্ধারিত জমির পশ্চিমাংশে জমি কম থাকায় বিপত্তি বাধে। সেই থেকে ১৬ শতক জমি অধিগ্রহণের জন্য ৪ বছর ধরে আটকে আছে নির্মাণকাজ।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মধু ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী শফিকুল ইসলাম মধু প্রথম আলোকে বলেন, ‘২০১৯ সালে কার্যাদেশ পাওয়ার পর এক মাসের মধ্যে আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে মসজিদের কাজ শুরু করেছিলাম। সেখানকার নিচু জমি ভরাট করে পাইলিংও রেডি করেছিলাম। এরপর মূল ভবনের কাজ শুরু করতে যেয়ে দেখা যায়, নকশার সঙ্গে পশ্চিম দিকের জমি কম। সেই থেকে জমি অধিগ্রহণ নিয়ে জটিলতার কারণে কাজ বন্ধ। সেখানে আমার অনেক টাকা বিনিয়োগ হয়েছে। বিগত সময়ের চেয়ে বর্তমানে মালামালের দাম বেশি। প্রস্তাবিত মূল্য বাড়ানো না হলে আর কাজ করা সম্ভব নয়।’