নন-ক্যাডার নিয়োগে নতুন নিয়ম বাতিলের দাবিতে বরিশালে মানববন্ধন
নন-ক্যাডার নিয়োগে নতুন নিয়ম বাতিলের দাবিতে বরিশালে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন ৪০তম বিসিএসে উত্তীর্ণ নন-ক্যাডার চাকরিপ্রত্যাশীরা। সমাবেশে তাঁরা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেকারবান্ধব নীতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করা ও বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ নন-ক্যাডার প্রার্থীদের বিপক্ষে নীলনকশা বাস্তবায়নের অপতৎপরতা চলছে। এই তৎপরতা দ্রুত বন্ধ করে আগের নিয়মে নন-ক্যাডারদের নিয়োগের পদ্ধতি কার্যকর করার দাবি করেন তাঁরা।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে নগরের অশ্বিনীকুমার হলের সামনে ৪০তম বিসিএসে উত্তীর্ণ বরিশালের নন-ক্যাডার চাকরিপ্রত্যাশী, বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়–কলেজের শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থী বেকার যুবকেরা এই মানববন্ধনের আয়োজন করেন। এতে বক্তব্য দেন ৪০তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ নন-ক্যাডার তালিকার অপেক্ষমাণ প্রার্থী শ্রমিক বণিক, মাসুম বিল্লাহ, রাসেল মাহমুদ, মো. রায়হান, শাহেলা পারভীন প্রমুখ।
বিসিএসের মাধ্যমে নন-ক্যাডার পদে নিয়োগে আগের নিয়ম থেকে সরে এসে নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। ৪০তম বিসিএস থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করার কথা জানিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে গত ২৩ আগস্ট চিঠি দিয়েছে পিএসসি। তবে এ সিদ্ধান্তে হতাশা প্রকাশ করেছেন চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁরা বলছেন, এতে একেকটি বিসিএসে নন-ক্যাডার পদে প্রার্থীদের নিয়োগ কমে যাবে।
সমাবেশে অংশ নেওয়া চাকরিপ্রার্থীরা জানান, গত কয়েকটি বিসিএসে মেধার ভিত্তিতে ক্যাডার পদে নিয়োগের পর উত্তীর্ণ বাকি প্রার্থীদের নন-ক্যাডার হিসেবে অপেক্ষমাণ তালিকায় রাখা হচ্ছিল। এরই মধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরকে চিঠি দিয়ে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির শূন্য পদের সংখ্যা কত, তা পিএসসিতে পাঠানোর অনুরোধ করা হতো। সেখান থেকে পাঠানো পদের চাহিদা অনুযায়ী মেধার ভিত্তিতে নন-ক্যাডার পদে নিয়োগের সুপারিশ করা হতো। নতুন আরেকটি বিসিএসের ফল প্রকাশের আগপর্যন্ত শূন্য পদের চাহিদা এলে পিএসসি অপেক্ষমাণ প্রার্থীদের মধ্য থেকে যোগ্যদের নিয়োগের সুপারিশ করত।
কিন্তু নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এখন থেকে নতুন বিসিএসের বিজ্ঞপ্তিতে ক্যাডার পদের পাশাপাশি নন-ক্যাডার পদের সংখ্যাও উল্লেখ থাকবে। তবে চলমান ৪০, ৪১, ৪৩ ও ৪৪তম বিসিএসের ক্ষেত্রে কত শূন্য পদের চাহিদা এসেছে, তা পর্যালোচনা করে মেধার ভিত্তিতে নন-ক্যাডার পদে নিয়োগের সুপারিশ করা হবে।
পিএসসির নতুন সিদ্ধান্তে হতাশা প্রকাশ করে চাকরিপ্রার্থী শাহেলা পারভীন বলেন, আগের বিসিএসে নন-ক্যাডার পদে অন্যরা যে সুবিধা পেয়েছেন, তাঁরা সেটি পাচ্ছেন না। এমন সিদ্ধান্তে তাঁরা ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত।