ফেনীর ছাগলনাইয়ায় সালিসে ছুরিকাহত হয়ে সালিসদার নিহত

লাশ
প্রতীকী ছবি

ফেনীর ছাগলনাইয়ায় জমিসংক্রান্ত বিরোধের মীমাংসার জন্য বসা সালিসে এক পক্ষের ছুরিকাঘাতে একজন সালিসদার নিহত হয়েছেন। তাঁর নাম আবদুল রউফ (৬৫)। তিনি ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার পাঠাননগর ইউনিয়নের গন্ধব্যপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে ফেনী সদর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

এ ঘটনায় ছাগলনাইয়া থানার পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গন্ধব্যপুর গ্রামের মৃত মফিজুর রহমান ভূঞার দুই ছেলে—মো. মামুন ভূঞা ওরফে মোকসেদুর রহমান ভূঞা (৪৫) ও তাঁর ভাই মো. মিজানুর রহমান ভূঞা ওরফে স্বপন ভূঞার (৪৮) মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে আগেও একাধিকবার দুই পক্ষের মধ্যে ঝগড়া, হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছিল। গতকাল রাতে জমিসংক্রান্ত পূর্ব বিরোধ মীমাংসার জন্য তাঁদের বাড়ির উঠানে সালিস বসে। ওই সালিসে গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মুছা মিয়া, আবুল মনসুর, মো. মিজান, মো. ইউসুফ, মো. ইউনুছ, মহিউদ্দিন ও নিহত রউফসহ স্থানীয় ২০ থেকে ২৫ জন উপস্থিত ছিলেন।

সালিসের একপর্যায়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে মোকসেদুর ও মিজানুরের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। এ সময় বিদ্যুৎ চলে যায়। অন্ধকারের মধ্যে একপর্যায়ে মোকসেদুর, তাঁর ছেলে আরমান হোসেন ভূঞা (১৮) ও আরও কয়েকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে সালিসে থাকা প্রতিবেশী আবদুর রউফের (৬৫) ওপর হামলা করেন। তখন স্থানীয় লোকজন এগিয়ে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ফেনী সদর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে ভর্তির কিছুক্ষণ পর দিবাগত রাত ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

ছাগলনাইয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুদ্বীপ রায় সালিসে হামলায় একজন সালিসদার নিহত হওয়ার খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, এ ঘটনায় পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে মোখসেদুর, তাঁর স্ত্রী ও আবুল মনসুর নামে তিনজনকে আটক করেছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।