রাউজানে অনাথালয়ের কক্ষ থেকে স্কুলছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রামের রাউজানে একটি বৌদ্ধ অনাথালয় থেকে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে উপজেলার পূর্ব গুজরা ইউনিয়নের হোয়ারাপাড়া অগ্রসার বৌদ্ধ অনাথালয় থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

ওই ছাত্রীর নাম এনুছাই মারমা (১৫)। সে রাঙামাটির রাজস্থলী উপজেলার পশ্চিম তাইতংপাড়ার হলাচুইসিং মারমার মেয়ে। এনুছাই মারমা ওই অনাথালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিল।

এনুছাই মারমার পরিবারের সদস্য এবং তার স্কুলের সহপাঠীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার সে প্রতিদিনের মতো স্কুলে গেছে। সন্ধ্যায় সহপাঠীদের সঙ্গে অনাথালয় ভবনের দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে প্রার্থনা শেষে আবাসিক কক্ষে পড়তেও বসেছিল। গতকাল বুধবার স্কুল বন্ধ ছিল। গতকাল বিকেলে চারতলার একটি কক্ষ থেকে এনুছাই মারমার ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়।

পুলিশ বলছে, লাশের গলায় স্কুলের পোশাকের ফিতা জড়ানো ছিল। ছাদের একটি হুকের সঙ্গে লাশটি ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল। পরে পুলিশ এসে সেখান থেকে লাশটি নামায়। এটা হত্যা না আত্মহত্যা, এ বিষয়ে প্রাথমিকভাবে স্পষ্ট কোনো ধারণা করতে পারছে না পুলিশ।

এনুছাই মারমার বড় বোন লাচিংসাই মারমা একই অনাথালয়ের একাদশ শ্রেণিতে পড়ে। সে প্রথম আলোকে বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে হঠাৎ সে খবর পায়, তার বোনের লাশ পাওয়া গেছে। এর আগে সে কিছুই জানত না বলে কেঁদে ফেলে।

অগ্রসার অনাথালয়ের পরিচালক সৌমিতানন্দ থেরো প্রথম আলোকে বলেন, মেয়েটি মঙ্গলবার সন্ধ্যার সময় প্রার্থনা শেষ করে আবাসিক হলের কক্ষে চলে যায় বলে তার সহপাঠীরা তাঁকে জানিয়েছে। এরপর মেয়েটির আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।

রাউজান ও রাঙ্গুনিয়া পুলিশ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনোয়ার হোসেন শামিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রথম আলোকে বলেন, লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে ধারণা করা হচ্ছে, এক দিন আগে এনুছাই মারমার মৃত্যু হয়েছে। কারণ, লাশের কিছু অংশে পচন ধরেছে।