নরসিংদীতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সে চাকরি করেন শাহজাহান। তাঁর দশম শ্রেণিপড়ুয়া ছেলে ছাব্বির প্রথম আলোকে বলে, প্রায় পাঁচ মাস আগে এক শুক্রবার বাড়ির সামনে গাভিন গরুটি বাঁধা ছিল। ওই দিন জুমার নামাজ পড়ে এসে তার বাবা দেখতে পান, গরুটি নেই। পরিবারের সবাই মিলে আশপাশের গ্রাম ও হাটবাজারে খোঁজ করেও গরুটি পাননি। আজ ভোরে ঘুম থেকে ওঠার পর বাড়ির পেছনে কুয়ার পাড়ের একটি গাছে গরুটি বাঁধা অবস্থায় দেখতে পান বাড়ির লোকজন। সঙ্গে ছিল আনুমানিক দুই মাস বয়সী একটি বাছুর।
এত দিন পর হারানো গরুটি বাছুরসহ ফেরত পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন ওই বাড়ির লোকজন।
ছাব্বির আরও বলে, যত্ন ও খাবারের অভাবে গরুটির স্বাস্থ্য অনেক ভেঙে গেছে। এত দিন পর গরুটি ফেরত পাওয়ার খবর শুনে গ্রামের লোকজন তাঁদের বাড়িতে ভিড় করেন।
গরুটির মালিক শাহজাহান প্রথম আলোকে বলেন, ‘রোববার সকালে আমার ছেলে মুঠোফোনে গরুটি ফেরত পাওয়ার খবর জানায়। এরপর বাড়ির উদ্দেশে রওনা হই। গরুটি লালনপালন করতে করতে অনেক মায়া জমে হয়ে গিয়েছিল। হারানোর পর অনেক কষ্ট পেয়েছিলাম। যে গরুটি চুরি করেছিল তার সুমতি হয়েছে দেখে আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই।’