রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে মসজিদের ইমামকে কুপিয়ে হত্যা

গলাকেটে হত্যা
প্রতীকী ছবি

কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের অভ্যন্তরে একটি পাহাড়ি ছড়া থেকে সামসু আলম নামের এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি আশ্রয়শিবিরের সি-ব্লকের এইচ-৭৯ শেডের বাসিন্দা। আশ্রয়শিবিরের একটি মসজিদের ইমামের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। তাঁর শরীরে বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন রয়েছে।

পুলিশ ও রোহিঙ্গা নেতারা জানান, ভোরে ফজরের নামাজ পড়াতে সামসু আলম ঘর থেকে বের হয়েছিলেন। এর পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। পরে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ২০ নম্বর ক্যাম্প এলাকার পাহাড়ি ছড়ার পাশ থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার হয়।

জানতে চাইলে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী প্রথম আলোকে বলেন, ছুরিকাঘাত ও কুপিয়ে মসজিদের ইমাম সামসু আলমকে খুন করা হয়েছে। তাঁর শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন রয়েছে। লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আশ্রয়শিবিরের একজন রোহিঙ্গা নেতা (মাঝি) জানান, নিহত সামসু আরএসও (আরাকান রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন) সমর্থক। আগে তিনি আরসার (আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি) সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। দলবদলের কারণে তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে ধারণা ওই রোহিঙ্গা নেতার।

রোহিঙ্গা নেতারা জানান, আশ্রয়শিবিরে প্রায় প্রতিদিন সশস্ত্র গোষ্ঠীর আরসা ও আরএসওর সমর্থকদের মধ্যে গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। এতে সাধারণ রোহিঙ্গারা আতঙ্কে রয়েছেন।

এর আগে গত বুধবার দুপুরে উখিয়ার বালুখালী আশ্রয়শিবিরে (ক্যাম্প-৮) আরসা ও আরএসও সন্ত্রাসীদের মধ্যে গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনায় উম্মে হাফসা (১১) ও আবুল ফয়েজ (৮) নামের দুই রোহিঙ্গা শিশু গুলিবিদ্ধ হয়।

পুলিশ ও রোহিঙ্গা নেতারা জানিয়েছেন, গত সাড়ে চার মাসে আশ্রয়শিবিরে একাধিক সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ২৭ জন রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ১৩ জন রোহিঙ্গা মাঝি এবং ৭ জন আরসার সদস্য; বাকি ৭ জন সাধারণ রোহিঙ্গা।