বিয়ের ১৮ দিন পর নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, তালাকের কথা বলেছিলেন স্বামী

আত্মহত্যাপ্রতীকী ছবি

সিলেটে এক নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে সিলেটের গোলাপগঞ্জে দক্ষিণ কানিশাইল এলাকায় সৌদিপ্রবাসী হাবিবুর রহমানের বাড়ি থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় হাবিবুর রহমানকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। নিহত নারীর নাম তানজিনা ইসলাম (২৫)। ১৮ দিন আগে সৌদিপ্রবাসী হাবিবুর রহমানের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছিল।

হাবিবুর রহমানের পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, গত ২১ জুন গোলাপগঞ্জের বসন্তপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের মেয়ের সঙ্গে বিয়ে হয় সৌদিপ্রবাসী হাবিবুর রহমানের। বিয়ের পর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ চলছিল। আজ মঙ্গলবার পারিবারিক বিষয় নিয়ে সকালে হাবিবুর রহমানের সঙ্গে তানজিনা ইসলামের বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে হাবিবুর রহমান ‘এক তালাক, দুই তালাক’ বলে চিৎকার দিলে তানজিনা নিজ কক্ষে প্রবেশ করে দরজা বন্ধ করে দেন। কিছু সময় পর পরিবারের অন্য সদস্যরা তানজিনাকে ডাকাডাকি করলেও কোনো সাড়া পাননি। একপর্যায়ে পরিবারের সদস্যরা দরজা ভেঙে প্রবেশ করলে তানজিনাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। এ সময় তাঁকে নামিয়ে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তানজিনাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে।

সিলেটের গোলাপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুল আমিন প্রথম আলোকে বলেন, হাবিবুর রহমান নামের ওই ব্যক্তি সৌদিপ্রবাসী। সম্প্রতি তিনি দেশে ফিরে বিয়ে করেন। পারিবারিকভাবেই তাঁদের বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের পর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অমিল ছিল। মঙ্গলবার সকালেও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়েছিল। এ সময় স্বামী রাগের মাথায় তালাক দেওয়ার কথা বলেছিলেন। এরপর স্ত্রী নিজ কক্ষের দরজা বন্ধ করে অবস্থান করছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

ওসি মাসুদুল আমিন জানান, নিহত নারীর পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো অভিযোগ করা হয়নি। তাঁর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। নিহত গৃহবধূর স্বামী পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন। ময়নাতদন্ত শেষে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।