রমজানে ১০ টাকা লিটারে দুধ বিক্রি করেন কিশোরগঞ্জের এরশাদ

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতপুর গ্রামের মো. এরশাদ উদ্দিনের খামার এটি। তিনি রমজান মাসজুড়ে ১০ টাকা লিটার দরে দুধ বিক্রি করছেনছবি: প্রথম আলো

রমজান উপলক্ষে ব্যবসায়ীরা যেখানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ানোর প্রতিযোগিতায় নামেন, সেখানে ব্যতিক্রম কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জের নিয়ামতপুর গ্রামের মো. এরশাদ উদ্দিন। এই খামারি চার বছর ধরে রমজান মাসজুড়ে ১০ টাকা লিটার দরে দুধ বিক্রি করছেন।

এরশাদ মঙ্গলবার রোজার প্রথম দিন থেকে ১০ টাকা লিটারে দুধ বিক্রি শুরু করেছেন। উপজেলার নিয়ামতপুর গ্রামে জেসি অ্যাগ্রো ফার্ম নামে তাঁর গরুর খামার আছে। বাজারে বর্তমানে ৮০ থেকে ১০০ টাকা লিটার দরে দুধ বিক্রি হচ্ছে। এরশাদ উদ্দিনের এই উদ্যোগ এলাকায় প্রশংসা কুড়াচ্ছে।

এরশাদের খামারে দুগ্ধ ও মোটাতাজাকরণের ৪০০ গরু আছে। এর মধ্যে গাভি ৭০টির মতো। দুধ দিচ্ছে ৩০টি গাভি। এ থেকে দৈনিক ৮০ থেকে ১০০ লিটার দুধ পাওয়া যায়। খামারে উৎপাদিত দুধ রমজানজুড়ে গরিবদের জন্য ১০ টাকা লিটার দরে বিক্রি করবেন তিনি। চার বছর ধরে এভাবেই দুধ বিক্রি করে আসছেন তিনি।

এরশাদ উদ্দিন বলেন, রমজানজুড়ে প্রায় দুই হাজার লিটার দুধ ১০ টাকা দরে বিক্রি করবেন। রমজান মাসে সবাই দুধ খেতে চান। বিশেষ করে সাহ্‌রির সময় এটা অনেকেরই পছন্দের খাবারের তালিকায় থাকে। ফলে দুধের চাহিদা বাড়ায় দাম বেড়ে যায়। তাই তিনি কম টাকায় দুধ বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছেন। যে কেউ খামারে এসে দুধ কিনে নিতে পারবেন। প্রতিজন সর্বোচ্চ এক লিটার দুধ কিনতে পারবেন।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, রমজান মাস এলে জিনিসপত্রের দাম বাড়ানো হবে, এটা রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। এবারও দুধের দাম ২০ টাকা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে রমজানে এরশাদের এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়।

নিয়ামতপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আবদুল হেলিম বলেন, রমজান মাসে যখন ব্যবসায়ীরা দুধের দাম বাড়িয়ে দেন, সে সময় এরশাদ উদ্দিন ১০ টাকা লিটারে দুধ বিক্রি করছেন। এটা অবশ্যই প্রশংসনীয় উদ্যোগ। তিনি দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় নিঃস্বার্থভাবে মানবিক কাজ করে আসছেন। এ জন্য তিনি তাঁকে ধন্যবাদ জানান।