উখিয়ার আশ্রয়শিবিরে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় পাঁচ রোহিঙ্গা গ্রেপ্তার

কক্সবাজারের উখিয়ার শফিউল্লাহ কাটা আশ্রয়শিবিরে এপিবিএন সদস্যের ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার পাঁচ রোহিঙ্গাছবি-সংগৃহীত

কক্সবাজারের উখিয়ার শফিউল্লাহকাটা আশ্রয়শিবিরে (ক্যাম্প-১৬) আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যের ওপর হামলার ঘটনায় পাঁচ রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার রোহিঙ্গাদের নাম নাজির হোসেন (২৩), মো. সাকের (৪৪), নুরুল ইসলাম (২২), সৈয়দ আলম (৩৭) ও আমেনা খাতুন (৪০)। তাঁরা সবাই ক্যাম্প-১৬ আশ্রয়শিবিরের ডি-৫ ব্লকের বাসিন্দা। গতকাল শনিবার রাতে আশ্রয়শিবিরে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

এপিবিএন জানায়, গত শুক্রবার রাতে আশ্রয়শিবিরে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে নামে এপিবিএনের একটি টহল দল। এ সময় একদল রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী এপিবিএনের কনস্টেবল শাখাওয়াত হোসেনের ওপর হামলা করে অস্ত্র কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা চালায়। একপর্যায়ে শাখাওয়াতের মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। তাতে তিনি আহত হন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন শফিউল্লাহকাটা আশ্রয়শিবিরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ৮ এপিবিএনের সহকারী পুলিশ সুপার মো. সাইদুর রহমান। তিনি বলেন, এপিবিএন সদস্যের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা করা হয়েছে।

এপিবিএন সদস্যের ওপর হামলার ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শী রোহিঙ্গা নেতারা বলেন, শুক্রবার এপিবিএনের টহল দল আশ্রয়শিবিরে অভিযান শুরু করলে একজন রোহিঙ্গাকে ওয়ান শুটারগান হাতে নিয়ে পালাতে দেখেন। এ সময় এপিবিএনের কনস্টেবল শাখাওয়াত ধাওয়া করে ওই রোহিঙ্গাকে আটক করেন এবং হাতে থাকা অস্ত্রটি উদ্ধারের চেষ্টা চালান।

এ সময় আশ্রয়শিবিরের শতাধিক রোহিঙ্গা ঘটনাস্থলে জড়ো হন। এরপর এক রোহিঙ্গা নারী ধারালো অস্ত্র দিয়ে কনস্টেবল শাখাওয়াতের মাথায় কোপ মারেন। আহত শাখাওয়াতকে আশ্রয়শিবিরের এমএসএফ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।