২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

একযোগে মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার হুঁশিয়ারি রোহিঙ্গাদের

স্বদেশে ফিরতে রোহিঙ্গাদের সমাবেশ। শুক্রবার সকালে উখিয়ার লম্বাশিয়া আশ্রয়শিবিরেছবি: প্রথম আলো

নিজ জন্মভূমি মিয়ানমারে ফিরে যেতে কক্সবাজারের উখিয়া আশ্রয়শিবিরে সমাবেশ করেছেন রোহিঙ্গা শরণার্থীরা। শুক্রবার সকালে উখিয়ার লম্বাশিয়া আশ্রয়শিবিরে ওই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশ থেকে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে প্রত্যাবাসন ইস্যুতে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলাপ করে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানানো হয়। অন্যথায় একজোট হয়ে স্বদেশে ফিরে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন রোহিঙ্গারা।

শুক্রবার সকাল ১০টায় লম্বাশিয়া আশ্রয়শিবিরে জড়ো হন রোহিঙ্গারা। তাঁরা প্রায় সবাই সাদা শার্ট ও লুঙ্গি পরা ছিলেন। সমাবেশে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি আশ্রয়শিবির থেকে রোহিঙ্গা হেড মাঝি, সাবমাঝি, ধর্মীয় নেতা ও নারীরা অংশ নেন। এ সময় ‘অনেক হয়েছে আর নয়; এবার স্বদেশে ফিরতে চাই’ বলে রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে শোনা যায়।

সমাবেশে টেকনাফের শালবাগান ২৬ নম্বর আশ্রয়শিবিরের মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ বলেন, ‘এক বছর, দুই বছর করে সাত বছর পার করছি পরদেশে। এখানে আর থাকতে চাই না। নিজেদের অধিকার নিয়ে স্বদেশ মিয়ানমারে ফিরে যেতে চাই।’

রোহিঙ্গা সংগঠক সৈয়দ উল্লাহ বলেন, ‘মিয়ানমারের আরকানে আমাদের আত্মীয়স্বজন, মা-বাবা, ভাই-বোন আছে। তাদের ওপর অনেক নির্যাতন হচ্ছে। তাদের প্রতি আহ্বান থাকবে, তারা যেন কোনো দিনও দেশ ছেড়ে চলে না আসে। জাতিসংঘের সংস্থাগুলোকে প্রত্যাবাসন ইস্যুতে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলাপ করে উদ্যোগ নিতে হবে। অন্যথায় একজোট হয়ে আমরা মিয়ানমারে ফিরে যাব।’

সমাবেশে উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন আশ্রয়শিবিরের রোহিঙ্গারা অংশ নেন। শুক্রবার সকালে উখিয়ার লম্বাশিয়া আশ্রয়শিবিরে
ছবি: প্রথম আলো

রোহিঙ্গাদের সংগঠন আরওএফডিএমএনআরসির প্রতিষ্ঠাতা মো. কামাল হোসাইন বলেন, ‘সমাবেশে মা-বাবা, ভাই-বোন যাঁরা এসেছেন, তাঁদের অধিকার যদি যুবকেরা কাঁদে নেন, তাহলে ১ বছরের মধ্যে ইনশা আল্লাহ, আমাদের দেশে আমরা ফিরে যেতে পারব।’ রোহিঙ্গা ছলিম উল্লাহ বলেন, ‘আমাদের দেশ আছে। মিয়ানমারের আরকান আমাদের দেশ। আমরা দেশে ফিরে যেতে চাই।’

তিন ঘণ্টার সমাবেশ শেষে মোনাজাতে আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশের প্রতি শুকরিয়া জানান রোহিঙ্গারা। বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি আশ্রয়শিবিরে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা সাড়ে ১২ লাখ। এর মধ্যে ৮ লাখ এসেছে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পরের কয়েক মাসে। গত ছয় বছরে একজন রোহিঙ্গাকেও মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়নি।