তাজরীনে অগ্নিকাণ্ডে জড়িতদের শাস্তি ও ন্যায্য ক্ষতিপূরণ দাবি

তাজরীন ফ্যাশনসে অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তিসহ বিভিন্ন দাবিতে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের মানববন্ধন। বৃহস্পতিবার ঢাকার আশুলিয়ায়
ছবি: প্রথম আলো

ঢাকার আশুলিয়ার তাজরীন ফ্যাশনসে অগ্নিকাণ্ডে শ্রমিক নিহত হওয়ার ঘটনায় মালিক দেলোয়ার হোসেনসহ জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন। এতে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের ন্যায্য ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি আহত ব্যক্তিদের পুনর্বাসন ও সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে সংগঠনগুলো।

ভয়াবহ ওই অগ্নিকাণ্ডের ১০ বছর পূর্তিতে আজ বৃহস্পতিবার সকালে পুড়ে যাওয়া তাজরীন ফ্যাশনসের ভবনের সামনে মানববন্ধনের আয়োজন করে বাংলাদেশ সেন্টার ফর ওয়ার্কার্স সলিডারিটি (বিসিডব্লিউএস)। এতে অংশগ্রহণ করেন বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা। এর আগে পোশাক কারখানাটির ফটকের সামনে নিহত শ্রমিকদের স্মরণে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন তাঁদের স্বজন ও শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা।

২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর সন্ধ্যার দিকে সাভারের আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরে তুবা গ্রুপের তৈরি পোশাক কারখানা তাজরীন ফ্যাশনসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১১১ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়। আহত হন শতাধিক শ্রমিক। তখন থেকে এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের উপযুক্ত শাস্তি এবং হতাহত শ্রমিকদের ন্যায্য ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়ে আসছে শ্রমিক সংগঠনগুলো।

এ ঘটনায় ২০১৩ সালের ২৯ মে রেহানা আক্তার নামের নিহত এক শ্রমিকের ভাই ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাজরীন ফ্যাশনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। মামলায় দেলোয়ার হোসেন ছাড়াও ৩০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়। বর্তমানে প্রধান আসামি দেলোয়ার হোসেন জামিনে মুক্ত।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর হচ্ছে দেশের পোশাক কারখানার ইতিহাসে একটি ট্র্যাজেডির দিন। এরপরও মামলায় দীর্ঘসূত্রতা, বিচারহীনতার সংস্কৃতি এবং স্বজনপ্রীতির কারণে গত ১০ বছরে তাজরীনের এমডি দেলোয়ার হোসেনসহ এ ঘটনায় জড়িত অন্য ব্যক্তিদের শাস্তি হয়নি। বিচারহীনতার ১০ বছর বলে দেয়, সরকারপক্ষের কাছে শ্রমিকের জীবন ও স্বপ্নের কোনো মূল্য নেই।

বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সভাপ্রধান তাসলিমা আখতার বলেন, ১০ বছরেও তাজরীন ফ্যাশনসের মালিকসহ দোষীদের শাস্তি ও ক্ষতিপূরণ আইনের পরিবর্তন এবং ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পুনর্বাসন হয়নি। তাজরীন ট্র্যাজেডির ঘটনায় দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি, ক্ষতিপূরণ আইনের বদল ও ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের যথাযথ পুনর্বাসন করতে হবে।