বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লা বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতারা এখন বিএনপিকে কর্মসূচি করতে দিচ্ছেন না। অথচ বাকশাল করে আওয়ামী লীগ নামের দলটি ১৯৭৫ সালে বিলুপ্ত হয়েছিল। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে আবার আওয়ামী লীগ নামে তাঁদের পুনর্গঠনের সুযোগ করে দিয়েছিলেন। এ জন্য আওয়ামী লীগের নেতাদের উচিত বিএনপির প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা।’
শুক্রবার বান্দরবানের স্টেডিয়ামসংলগ্ন এলাকায় ট্রাকে মঞ্চ বানিয়ে করা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য এসব কথা বলেন বরকতউল্লা বুলু। ১০ দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ সমাবেশ করেছে বান্দরবান জেলা বিএনপি।
বান্দরবান প্রেসক্লাব চত্বরে সমাবেশ করার কথা থাকলেও পুলিশি বাধার কারণে বাধ্য হয়ে স্টেডিয়ামসংলগ্ন এলাকায় ট্রাকে অস্থায়ী মঞ্চ বানিয়ে সমাবেশ করে বিএনপি। কাছাকাছি এলাকায় আওয়ামী লীগ সমাবেশ করার ঘোষণা দেওয়ায় প্রেসক্লাব চত্বরে সমাবেশ করতে দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বান্দরবান জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রেজা প্রথম আলোকে বলেন, বান্দরবান প্রেসক্লাব চত্বরে পুলিশ জনসমাবেশ করতে দেয়নি। এ জন্য বাধ্য হয়ে স্টেডিয়ামসংলগ্ন এলাকায় সমাবেশ করতে হয়েছে। তা–ও বেলা দুইটায় সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে পুলিশ। এ জন্য সমাবেশস্থলে মঞ্চ তৈরি করা সম্ভব হয়নি।
বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম শহিদুল ইসলাম বলেন, প্রেসক্লাব এলাকায় আরেকটি সমাবেশ থাকায় বিএনপিকে স্টেডিয়াম এলাকায় সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়।
সমাবেশে বরকতউল্লা ছাড়াও বক্তব্য দেন বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য উদয় কুসুম বড়ুয়া, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রেজা, সাংগঠনিক সম্পাদক জসীম উদ্দিন, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক উম্যাচিং মারমা প্রমুখ। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় উপজাতীয়বিষয়ক সম্পাদক মাম্যাচিং মারমা।
বরকতউল্লা আরও বলেন, পাহাড়িদের জোরজবরদস্তি করে বাঙালি বানাতে গিয়ে আওয়ামী লীগ পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা সৃষ্টি করেছে। বিএনপির বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদে জাতিগত পরিচয়ের সমাধান হয়েছে। এখন অন্যান্য সমস্যার সমাধান করতে হবে।