কাজে আসছে না ৩৬টি ভবন

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা ও মধ্যনগর উপজেলার ৩৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে বছর দুয়েক আগে।

সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার জয়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এই নতুন ভবনের নির্মাণকাজ বছরখানেক আগে শেষ হয়েছে। গতকাল সকালে তোলা
ছবি: প্রথম আলো

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা ও মধ্যনগর উপজেলার ৩৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে বছর দুয়েক আগে। কিন্তু এসব ভবনে আসবাব সরবরাহ না করায় এগুলো শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের কাজে আসছে না। এতে এসব বিদ্যালয়ের প্রায় সাড়ে ৫ হাজার শিক্ষার্থীর পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।

ধর্মপাশা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের চাহিদাভিত্তিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় উন্নয়ন প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে এবং চাহিদাভিত্তিক সদ্য জাতীয়করণকৃত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় উন্নয়ন প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের আওতায় দরপত্রের মাধ্যমে ধর্মপাশা ও মধ্যনগরের ৩৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণকাজ এক থেকে দুই বছর আগে সম্পন্ন হয়।

এগুলো হচ্ছে—বেখইজোড়া, গোলকপুর, থানুরা পাছাম, সাড়ারকোনা, সুনই, গাবী, মাটিকাটা, বড়ইহাটি, গলহা, ধর্মপাশা ২ নম্বর, খিদিরপুর, মধ্যনগর, দেওলা, জয়শ্রী, কান্দাপাড়া, চামরদানী, বাকাতলা, জাড়ারকোনা, সাউদপাড়া, পলমাটি, কার্তিকপুর, করুয়াজান, কাকরহাটি, দাসপাড়া, হলিদাকান্দা দক্ষিণ, কুড়িকাহনিয়া, বনগাঁও, রায়পুর, বনগাবী, কামাউড়া, কাইকুড়িয়া, শান্তিপুর, জলুষা-শাহাপুর, নওধার, দয়ালপুর ও জয়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এসব বিদ্যালয়ে নতুন ভবন নির্মাণকাজ শেষ হলেও এখনো আসবাব সরবরাহ করা হয়নি। ফলে শিক্ষার্থীদের পুরোনো ভবনের বেঞ্চে গাদাগাদি করে পাঠদান চলছে।

ধর্মপাশা উপজেলার হলিদাকান্দা দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল হালিম তালুকদার বলেন, ‘আমাদের বিদ্যালয়ে ২১৩ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। নতুন ভবনটির কাজ বছরখানেক আগে শেষ হয়েছে। আসবাব না থাকায় নিরুপায় হয়ে পুরোনো ভবনের মধ্যেই শিক্ষার্থীদের বেঞ্চে গাদাগাদি করে বসতে হচ্ছে। এতে সুষ্ঠুভাবে পাঠদান সম্ভব না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের খুবই ক্ষতি হচ্ছে।’

মধ্যনগর উপজেলার গলহা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মবিন উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে দুই বছর আগে। আসবাব না থাকায় নতুন ভবনটি ব্যবহার করা যাচ্ছে না। এতে শিক্ষার্থীদের খুবই ক্ষতি হচ্ছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েও কোনো সুফল পাইনি।’

মধ্যনগরের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা ধর্মপাশা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মানবেন্দ্র দাস বলেন, ‘এ ৩৬টি নতুন ভবনে আসবাব দেওয়ার জন্য আমি বেশ আগেই জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা স্যারের কাছে চাহিদাপত্র পাঠিয়েছি।’

সুনামগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এস এম আবদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, এ বিদ্যালয়গুলোতে আসবাবজনিত সমস্যার সমাধানে অনলাইন দরপত্রের মাধ্যমে আসবাব ক্রয়ের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। দ্রুততম সময়ের মধ্যে এ সমস্যা সমাধানের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।