নান্দাইলে বাজারের বড় দুটি গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ

বাজারের দুটি গাছ কাটার সময়ের দৃশ্য
ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার কালীগঞ্জ বাজারের ঘাট এলাকার দুটি বড় ‘রেইন-ট্রি’ গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিন দিন আগে থেকে গাছ দুটির ডাল ও কাণ্ড কাটা শুরু হয়েছিল। আজ শুক্রবার গাছ দুটি কাটা শেষ হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বাজারের ব্যবসায়ীরা।

কালীগঞ্জ বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, ওই দুটি বড় গাছ কিনেছেন মো. মোনায়েম ব্যাপারী ও তাইজুল ব্যাপারী। তাঁদের নিয়োজিত শ্রমিকেরা গাছ কাটার কাজ করেছেন।

রাজগাতী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান মো. রোকন মিয়া বলেন, বাজারের বড় বড় গাছ কোনোরকম বাধা ছাড়াই কেটে ফেলার ঘটনা নজিরবিহীন। এ ধরনের ঘটনা অনেককেই সরকারি জমিতে থাকা গাছ কাটতে উৎসাহ জোগাবে।
নান্দাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, গাছের ডালপালা কাটা–সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পাওয়ার পর সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। পুলিশ গাছকাটা বন্ধ করে এসেছিল।

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কালীগঞ্জ বাজারটি বেশ প্রাচীন। এটি নান্দাইল উপজেলার রাজগাতী ইউনিয়নে অবস্থিত। গাছ দুটির অবস্থান ছিল কালীগঞ্জ বাজারের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীর তীরে ঘাট এলাকায়। ঘাটের কাছে সম্প্রতি নতুন একটি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। গাছ দুটির ডালপালা ছড়িয়ে–ছিটিয়ে থাকায় বাজারের ওই অংশটি ছাঁয়াযুক্ত ছিল। গ্রীষ্মকালে পথচারীরা এখানে বসে বিশ্রাম নিতেন।

এ বিষয়ে মুঠোফোনে আলাপকালে মোনায়েম ব্যাপারী বলেন, তিনি গাছ দুটি কিনেছেন। তবে কত টাকায় গাছ কিনেছেন, তা বলতে রাজি হননি।

কারা গাছ বিক্রি করেছেন জানতে চাইলে মোনায়েম ব্যাপারী বাজারের পাশের কাশীনগর এলাকার আবির হোসেন ভূঁইয়া নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলিয়ে দেন। এ সময় আবির হোসেন ভূঁইয়া দাবি করেন, গাছ দুটি তাঁদের জমির ওপর পড়েছে। তাই গাছ দুটির মালিক তাঁরা।

রাজগাতী ইউনিয়নের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. শরীফুল আলম বলেন, গাছ দুটি বাজারের জমিতে পড়েছে। গাছ কাটার ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

রাজগাতীর ইউপির চেয়ারম্যান মো. ইফতেখার মমতাজ বলেন, রেকর্ড অব রাইট অনুযায়ী, জমিটি ব্যক্তি মালিকানাধীন। তাই জমি ও গাছের বিষয়টি দেখার দায়িত্ব উপজেলা ভূমি প্রশাসনের।

বিষয়টি যাচাই করে দেখার জন্য সার্ভেয়ারকে সেখানে পাঠাবেন বলে জানিয়েছেন নান্দাইল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এ টি এম আরিফ।