পটুয়াখালীতে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার সামনে বিজয়ী প্রার্থীকে মারধর

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনপ্রতীকী ছবি

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর নির্বাচন–সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও পুলিশের সামনেই বিজয়ী ও পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বিজয়ী প্রার্থীসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। পরে পুলিশ লাঠিপেটা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গতকাল রোববার রাত ১১টার দিকে মির্জাগঞ্জ উপজেলা অডিটরিয়ামে ফলাফল ঘোষণার কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।

আহত প্রার্থীর নাম মো. ওমর ফারুক। তিনি মাইক প্রতীক নিয়ে উপজেলাটির ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে প্রার্থী হন। ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে উপজেলাটির নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছিল। গতকাল সারা দিন ভোট গ্রহণের পর আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করা হয় উপজেলা অডিটরিয়ামে।

পুলিশ ও নির্বাচন কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা যায়, মির্জাগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হন কাপ-পিরিচ প্রতীকের খান মো. আবু বকর সিদ্দিকী, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) মাইক প্রতীকের মো. ওমর ফারুক ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হাঁস প্রতীকের হাসিনা বেগম। ফলাফল ঘোষণার পরপরই সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কর্মকর্তাদের সামনে ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) প্রার্থীসহ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ বাধে। এতে বিজয়ী প্রার্থী (মাইক প্রতীক) মো. ওমর ফারুক আহত হন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, ফলাফল ঘোষণার সময় ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে উপজেলায় ৪৩টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩৯টির ফলাফলে এগিয়ে ছিলেন উড়োজাহাজ প্রতীকের মো. সোহাগ হোসেন মৃধা। বাকি ৪টি কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণার পর দেখা যায়, মাইক প্রতীকের ওমর ফারুক বিজয়ী হয়েছেন। তখনই উড়োজাহাজ প্রতীকের কর্মী-সমর্থকেরা বিজয়ী প্রার্থী ও তাঁর কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা করেন। এ সময় অডিটরিয়ামের মধ্যেই উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পরলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লাঠিপেটা করে।

আরও পড়ুন

এ বিষয়ে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, ফলাফল ঘোষণার পরপর বিজয়ী ও পরাজিত প্রার্থী ও তাঁদের কর্মী-সমর্থকেরা উত্তেজিত হয়ে হাতাহাতিতে জড়ান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তাঁদের ওপর লাঠিপেটা করা হয়েছে। পরে উভয় পক্ষ ভুল বুঝতে পেরে লিখিতভাবে মুচলেকা দিয়েছে।

বর্তমানে এলাকাটির পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে জানান মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার নির্দেশে ওই সময় লাঠিপেটা করা হয়েছিল।

আরও পড়ুন