‘মানুষ আর কোনো ফ্যাসিবাদী ভয়ের রাজত্ব দেখতে চায় না’
ছাত্র-শ্রমিক-জনতার অভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের পতন হয়েছে। তারপর অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছে। কিন্তু সরকার পরিবর্তন হলেও রাষ্ট্রের শ্রেণি চরিত্রের কোনো পরিবর্তন হয়নি।
শুক্রবার সকালে নগরের আলী আহম্মদ চুনকা নগর মিলনায়তনে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটি আয়োজিত সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম।
সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিউনিস্ট পার্টির জেলা কমিটির সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লক্ষ্মী চক্রবর্তী, সদস্য মন্টু ঘোষ, জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শিবনাথ চক্রবর্তী, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বিমল কান্তি দাস, ইকবাল হোসেন, আবদুস সালাম, সদস্য দুলাল সাহা, এম এ শাহীন, দিলীপ কুমার দাস প্রমুখ।
শাহ আলম আরও বলেন, গণ–অভ্যুত্থানের বৈশিষ্ট্য ছিল স্বৈরাচার ও বৈষম্য বিরোধিতা। এই আন্দোলনের বয়ানের মধ্যে ফ্যাসিবাদ–বিরোধী গণতান্ত্রিক উপাদান ও বৈষম্যবিরোধী বক্তব্য ছিল প্রধান। কিন্তু দৃশ্যত এবং অদৃশ্য নানা কলাকৌশলের মধ্য দিয়ে সাম্রাজ্যবাদ ও সাম্প্রদায়িক প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি ও সুশীল সমাজের একটি অংশ প্রধান হয়ে সামনে এসেছে। মানুষ আর কোনো ফ্যাসিবাদী ভয়ের রাজত্ব দেখতে চায় না। এই মিশ্র চরিত্রের গণ–আন্দোলনের ফলে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক সংস্কারের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, স্বৈরাচারের পতন হয়েছে। নানা ধরনের লোকজন নিয়ে অন্তর্বর্তীন সরকার গঠিত হয়েছে। কিন্তু রাষ্ট্র-সমাজ-অর্থনীতির এবং শোষকদের মূল চরিত্রের কোনো পরিবর্তন হয়নি।
অন্তর্বর্তী সরকার প্রয়োজনীয় সংস্কার করে সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পথে না হেঁটে কালক্ষেপণ করছে বলে মন্তব্য করেন শাহ আলম।